নিউজ

ডেঙ্গুর উপসর্গ কি কি? এই মারণ কামড় থেকে বাঁচবেন কিভাবে? দেখে নিন

ডেঙ্গি ভাইরাস মূলত এডিস ইজিপ্ট দ্বারা বাহিত হয়

বর্তমানে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ডেঙ্গি(Dengu)। ঘরে ঘরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। তবে কিভাবে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গু হয়েছে? এর উপসর্গই বা কি? কিভাবে সুস্থ হবেন ডেঙ্গু থেকে! আর কিভাবেই বা সাবধান থাকবেন, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। আজকে আপনাদের জানাব ডেঙ্গু সম্বন্ধিত নানা বিস্তারিত তথ্য।

ডেঙ্গুর উৎস( Dengu Source)

ডেঙ্গি ভাইরাস মূলত এডিস ইজিপ্ট দ্বারা বাহিত হয়। এই মশা বিশেষ করে সকালবেলা, বিকেলবেলা বা সন্ধ্যেবেলায় দিকে কামড়ায়। মশা কামড়ানোর 3 থেকে 10 দিনের মধ্যে এর উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়।

ডেঙ্গি জ্বরের উপসর্গ(Dengu Fever Symptoms)

জ্বর,মাথাব্যথা,জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়াও 2-3 দিনের মাথায় শরীরে ছোটো ছোটো দানা বেরতে দেখা যেতে পারেপারে।

ডেঙ্গি নির্ধারণ(Dengu Test)

উপসর্গগুলি দেওয়ার 5 দিনের মধ্যে এলাইজা পদ্ধতিতে এনএস1 অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গি নির্ধারণ করা হয়। তবে অনেকদিন হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে এলাইজা পদ্ধতিতে আইজিএম ডেঙ্গি আন্টিবডি পরীক্ষা করতে হবে চিকিৎসা(Treatment)

অনেকদিন আগে ডেঙ্গুর ভাইরাস আবিষ্কার হলেও এর যথাযথ ঔষধ এখনো কিছু বের হয়নি। তাবে এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা করতে হবে। তবে পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণ, প্রস্রাব কম হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সেক্ষেত্রে এটি জটিল আকার ধারণ করতে পারে, ফলে শীঘ্রই হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।

10 হাজারের নিচে প্লেটলেট সংখ্যার নেমে গেলে বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সেক্ষেত্রে প্লেটলেট ও লোহিত রক্তকণিকা দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর প্রাণঘাতের আশঙ্কাও থাকে। শীঘ্রই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।

ডেঙ্গু হলে বেশি করে জল ও তরল জাতীয় খাবার যেমন- ফলের রস, ডাবের জল, ওআরএস(ORS) খেতে হবে। জ্বর বেশি বাড়লে প্যারাসিটামল(Paracetamol) খেতে হবে, তবে মনে রাখবেন এক্ষেত্রে দিনে 3 গ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া যাবেনা।

কিভাবে সতর্ক থাকবেন(Precautions)

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে বাড়ি বা আশেপাশে কোনভাবেই জল জমতে দেবেন না। জল জমবে এমন জায়গা সর্বদা পরিস্কার রাখুন। সতর্ক থাকুন এবং এসব উপসর্গগুলি দেখা দিলে শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে আশা করা যায়, তাপমাত্রা 20°c নিচে নামলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে।