Summer Hacks: গরমের জ্বালায় জ্বলছে বাংলা। কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে 45 ডিগ্রি তো কোথাও আবার 40-42 ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রার পারদ। সুয্যি মামার দাপটে বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় নেই আমজনতার। মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেলেও খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছেন না দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এসি ছাড়া থাকাই যাচ্ছে না দু’দণ্ড। কিন্তু সবার পক্ষে তো আর এসি কেনা সম্ভব নয়। চিন্তা নেই, বেশ কিছু সহজ উপায় জানলেই ঘর হবে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল! এই প্রতিবেদনে রইল সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত।
জানালায় ভারী ও মোটা পর্দা-
দিনের বেলা জানালায় মোটা ও ভারী পর্দা ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এই কাজ করলে জানলা দিয়ে তাপ প্রবাহ প্রবেশ করতে পারবে না ঘরে। ফলে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা হবে সহজে। যদি সম্ভব হয় তাহলে একটি মোটা বেড কভার ভিজিয়ে জানলায় টাঙিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এতেও কিন্তু অনেকক্ষণ ঘর থাকবে ঠান্ডা।
মেছে মুছতে হবে-
ঘরের মেঝে ঠান্ডা রাখতে পারলেই অর্ধেক মুশকিল হয়ে যাবে আসান। ঘরের মেঝে মাঝেমধ্যেই মুছে নিতে হবে। এই কাজ করলেই ঘর থাকবে ঠান্ডা। এছাড়াও কম আসবাবপত্র রাখা যেতে পারে ঘরে। মনে রাখবেন, ঘরে যদি অত্যাধিক পরিমাণে আসবাবপত্র বা অন্যান্য জিনিসপত্র থাকে তাহলে গরম স্বাভাবিকভাবেই বেশি লাগবে। যে ঘর ফাঁকা এবং খোলামেলা সেই ঘরে গরম লাগে কম। ঘরের ভেতর বাতাস চলাচলে যেন কোনো রকমের বাধা সৃষ্টি না হয় সেই দিকটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
সন্ধ্যায় খোলা রাখতে হবে বাড়ির জানলা-
তাপ প্রবাহ কমে গেলেই বাড়ির জানলা খুলে দিতে হবে। এই কাজ করলে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারবে। ফলে ঘর ঠান্ডা হবে। রুমে যদি ভেন্টিলেটর না থাকে তাহলে জানলার পাশাপাশি খোলা রাখুন দরজা।
গাছ লাগান-
গ্রীষ্মের এই দাবদাহ থেকে যদি মুক্তি পেতে হয় তাহলে ভরসা রাখতে হবে বেশ কিছু গাছে। এমন বেশ কিছু গাছ রয়েছে যেগুলি ঘরের ভেতর রাখলে ঘর সহজেই ঠান্ডা হয়ে যায়। এ ধরনের গাছগুলিকে বলা হয় এয়ার পিউরিফায়ার। ঘর ঠান্ডা রাখতে হলে আপনি ভরসা রাখতে পারেন স্নেক প্ল্যান্ট, পিসি লিলি, স্পাইডার প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা গাছে। এ ধরনের গাছ আপনার ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করবে এবং ঘর রাখবে ঠান্ডা।