Prosenjit Chatterjee: তিনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। বলা ভালো, তিনিই গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। দীর্ঘদিনের অভিনয় জগতে তিনি বারবার নিজেকে ভেঙেছেন আর গড়েছেন। আর তাই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মানেই বাংলার মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে হয়তো আর নতুন করে কিছু বলতে হবে না। সেই উত্তম কুমারের পরবর্তী যুগ থেকেই ইন্ডাস্ট্রি মাতিয়ে রেখেছেন তিনি। আজও স্বমহিমায় রাজত্ব চালাচ্ছেন টলি ইন্ডাস্ট্রিতে।
বাবা বিখ্যাত অভিনেতা। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্ট্রাগেল করেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রসেনজিৎ। বাংলার মহানায়ক উত্তম কুমারের জীবদ্দশাতেই শিশু শিল্পী হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন প্রসেনজিৎ। বাবার প্রযোজিত অভিনীত ছবি ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসায়’ অভিনয় করেছিলেন প্রিয় বুম্বাদা। ১৯৬৮ সালে বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। এরপর ১৯৮৩ সালে ‘দুটি পাতা’ ছবি দিয়েই প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তাঁর। তারপরের ইতিহাসটা অবশ্য সকলেরই জানা। উত্তম যুগ শেষ হওয়ার পর টলিউডে নায়ক হিসেবে অভিষেক হয় প্রসেনজিৎ এর। আর এরপরেই গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব তিনি নিয়ে নেন নিজের কাঁধে। সেই শুরু, এরপর আর কখনই পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। আজও বাংলা দর্শকদের একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে চলেছেন প্রসেনজিৎ।
অভিনয়কে সম্বল করে এগিয়ে গিয়েছেন এই মানুষটা। তবে কেবলমাত্র নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এমনটা কিন্তু নয় পাশাপাশি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকেও করেছেন প্রতিষ্ঠিত। কীভাবে বাংলা ছবি পৌছে যাবে প্রতিটি মানুষের কাছে, কীভাবে বাড়বে কদর, এই নিয়ে দিনরাত খেটে চলেছেন তিনি। বরাবরই দর্শকদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন এই অভিনেতা। বোঝার চেষ্টা করেন সকলের মন। তবে তিনি যে কেবলমাত্র অভিনয়ে পারদর্শী এমনটা কিন্তু নয়। পাশাপাশি সুরেলা কন্ঠের জন্যেও ভক্তদের কাছে পরিচিত তিনি।
তবে তা বলে কিন্তু গাফিলতি করেননি লেখাপড়াতে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফলাফল করেছিলেন বিশ্বজিৎ পুত্র। অভিনয় জগতের মতোই হাঁকিয়েছিলেন ছক্কা। সকলের প্রিয় বুম্বাদা মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৬০ শতাংশেরও বেশি নম্বর। ১৯৭৭-৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন প্রসেনজিৎ। সে সময় সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে পাশ করা ছিল যথেষ্ট মুশকিল। আর যদি কোনো পরীক্ষার্থী সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে পাশ করত তাহলে তাঁকে নিয়ে চারিপাশে পড়ে যেত হইচই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একেবারে ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।