অফবিট

গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছে এই সবুজ অরণ্যে ঘেরা সুন্দর ট্যুরিস্ট প্লেস, মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে

Advertisement
Advertisement

হাতে সামান্য ছুটি পেলে কমবেশি সকলেই ছুটে যান দিঘা, পুরি কিংবা দার্জিলিং। তবে এই তিন জায়গার বাইরেও কিন্তু রয়েছে একটা বিশাল বড় জগৎ। আজকাল অবশ্য কাজের ব্যস্ততা থেকে সপ্তাহে দুদিনের ছুটি পেলেও এদিক ওদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিরা। তাদের জন্যই আজকের প্রতিবেদনে রইল ঘুরতে যাওয়ার দারুণ এক ঠিকানা। কলকাতা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে এই জায়গা। কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন সবটাই রইল এই প্রতিবেদনে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর কথা দিয়েছিলেন জঙ্গলমহলের মুখে হাসি ফোটাবেন। বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে পর্যটনের দিকে। সেই কথাই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলকে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন থেকেই ঝাড়গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। হাতে মাত্র দুদিন সময় পেলেই ঘুরে আসা যাবে ঝাড়গ্রাম থেকে।

কীভাবে যাবেন-

কলকাতা থেকে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ঝাড়গ্রাম। এর জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস অথবা ইস্পাত এক্সপ্রেস ধরতে হবে আপনাকে। ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নেমে টোটো কিংবা অটোয় চেপে বসতে হবে। স্টেশন থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি নানান গেস্ট হাউস।

আর যদি থাকে নিজস্ব গাড়ি তাহলে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে চার ঘন্টা। দুদিনের ছুটিতেই ঘুরে দেখা যাবে এই ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন। যদি সরকারি রিসোর্ট বুক করে রাখতে পারেন আগে থেকে তাহলে খরচ অনেকটাই কমে যাবে।

কোথায় কোথায় ঘুরবেন-

ঝাড়গ্রামে এসেই ব্রেকফাস্ট সেরে চলে যাওয়া যেতে পারে সাবিত্রী মায়ের মন্দির বা চিল্কিগড় কর্নক দূর্গা মন্দিরে। মন ভরে সেখানে পুজো করে নেওয়া যাবে।

তবে কেবলমাত্র কিন্তু পুজো নয় পাশাপাশি উপভোগ করা যাবে ডুলুং নদী এবং কর্নক অরণ্যের সৌন্দর্য।

এরপর ঘুরে আসা যেতে পারে চিল্কিগড় ধোবলদেব রাজবাড়ি থেকে।

সেখান থেকেই আমলাচটি ভেষজ উদ্যান এবং কৃষি গার্ডেনে চলে যাওয়া যাবে সহজেই।

ঝাড়গ্রাম শহর ঢোকার মুখে এই বাঁদরভুলায় প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রের সংগ্রহশালা ঘুরে দেখা যাবে সহজেই।

এছাড়াও ঝাড়গ্রামের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল মল্লদেব রাজবাড়ী। সেখানেও ঘুরে নেওয়া যাবে।

এছাড়াও রয়েছে জুলজিক্যাল পার্ক।

তবে কেবলমাত্র ঝাড়গ্রাম নয়, হাতে যদি আরও একটা দিনের সময় থাকে তাহলে সহজেই ঘুরে আসা যাবে বেলপাহাড়ি থেকে। ট্র্যাকিং করার জন্য গাড়রাশিনি পাহাড়ের চূড়াকেও বেছে নিতে পারেন পর্যটকেরা। এছাড়াও খাঁন্দারনী লেক, কেটকী ঝর্ণা, কাঁকড়াঝোড় ঘুরে দেখা যেতে পারে।

Related Articles