নিউজ

Electricity Bill: চুপিসারে বেড়ে গেল বিদ্যুতের দাম! কত বেশি টাকা গুনতে হবে গ্রাহকদের?

Advertisement
Advertisement

Electricity Bill: তীব্র গরমে সিলিং ফ্যান কিংবা এসি ছাড়া থাকাই যাচ্ছে না। দিনরাত মাথার উপরে ঘুরেই চলেছে সিলিং ফ্যান। কারোর ঘরে আবার ২৪ ঘন্টাই চলছে এসি। এতে গরমের হাত থেকে মুক্তি মিলছে ঠিকই তবে মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল গুনতে গিয়ে এই পকেট হয়ে যাচ্ছে খালি। তীব্র এই গরমে এমনিতেই মাস গেলে গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা বিদ্যুতের বিল। এর মাঝে আবার ঘটে গেল এক অন্য ঘটনা। একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সত্ত্বেও বিল আসছে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ। যা দেখে রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে আমজনতার। অভিযোগ, এ রাজ্যে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের দাম। সূত্রের খবর, ভোটের মরশুমের চুপিসারে কমানো হয়েছে স্ল্যাব। এতেই তিনগুণ বিদ্যুতের বিল আসছে।

সাধারণ মানুষের মন জয় করার জন্য ইউনিট এর দাম বাড়ানো হয়নি ঠিকই, কিন্তু কমিয়ে দেওয়া হয়েছে স্ল্যাব। যার ফলে বিদ্যুতের বিলে টাকার অঙ্কটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। নবান্নের এহেন সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ইলেক্টোরাল বন্ডে প্রায় ৪৪৪ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে সিএসসির মালিক। যার বিনিময় কলকাতায় বিদ্যুতের বিল বেড়েই চলেছে সিএসসির সৌজন্যে। অথচ কয়লার দাম কমছে হু হু করে। জিএসটিও হয়ে গিয়েছে প্রায় অর্ধেক। কিন্তু বিদ্যুতের বিল গুনতে গিয়েই পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই সিএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা WBSCDCL স্ল্যাব বদলের কায়দায় গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে বিদ্যুৎ মাসুল আদায় করছে বলেই অভিযোগ। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ ডোমেস্টিকে প্রতি ৩০০ ইউনিটের জন্য তিন মাসের বিল ট্যারিফ অনুযায়ী আসার কথা ১৬৯৯.৫০ টাকা।

তবে স্ল্যাব পরিবর্তন হওয়ার কারণে সেই বিদ্যুতের বিল আসছে ১৯৫৯.০৩ টাকা। ঠিক একই রকম ভাবে ২৫০ ইউনিট উঠলে বিল আসার কথা ১৫৬৩ টাকা। পরিবর্তে আসছে ১৭৪৮ টাকা। হঠাৎ করে এতটা বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত। মাসের শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুতের বিল গুনতে গিয়েই পকেট হয়ে যাচ্ছে অর্ধেক খালি। আর এতেই ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এখন দেখার পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।

Related Articles