অবশেষে হাড় কাঁপানো শীত এসে উপস্থিত। বেশ কয়েকদিন ধরেই বেজায় শীতে নাজেহাল মানুষ। আর শীতকালে গিজার ও রুম হিটারের ব্যবহার বহুমাত্রায় বেড়ে যায়। তবে এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহার করার কারণে আমাদের ইলেকট্রিক বিলের সংখ্যাটাও বহুমাত্রায় বেড়ে যায়। আর তাতেই কপালে বেশ চিন্তার ভাঁজ পড়ে মধ্যবিত্তের। তবে আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো এমন কয়েকটি উপায় যেগুলি সঠিকভাবে মেনে চললে শীতকালেও কম আসবে বৈদ্যুতিক বিল। চলুন তবে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সেই উপায় গুলি কি কি।
শীতকালে স্নান করার মত বড় যুদ্ধ মনে হয় আর কিছু হয় না। আর তাই গরম জল ছাড়া স্নান করার কথা ভাবলেই যেন অচিরেই কেঁপে ওঠে সারা শরীর। এই সমস্যা সমাধান করতে গিজারের জুড়ি মেলা ভার। বেশিরভাগ মানুষই এখন গিজার ব্যবহার করেন। কিন্তু গিজার ব্যবহারের ফলে অনেক সময় আমাদের বৈদ্যুতিক বিল বেশি আসে। কিন্তু চলুন আজ আপনাদের এমন কয়েকটি উপায় বলবো তাতে আপনার বিদ্যুতের সাশ্রয় ঘটবে।
গিজার কেনার সময় সর্বদা ফাইভ ষ্টার রেটিং দেখে তবেই কিনবেন। ফাইভ স্টার রেটিং গিজার বৈদ্যুতিক সাশ্রয় ঘটাতে সাহায্য করে। সুতরাং ফাইভ স্টার সহ গিজার কিনলে আপনার বৈদুতিক বিলও কম আসবে।
আপনার পরিবারে সদস্য সংখ্যা যদি বেশি হয়, তবে বেশি লিটারের গিজার কিনতে পারেন। তাহলে একবার গিজার চালালেই অনেকক্ষণ ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে আপনি বিল বাঁচাতে পারবেন।
একবার গিজার চালিয়ে জল গরম হয়ে গেলে সেটিকে বন্ধ করে দিন। অযথা জল গরম হয়ে যাবার পরেও গিজার চালিয়ে রাখবেন না। এক্ষেত্রে আপনার বিদ্যুৎ সাশ্রয় ঘটবে এবং যেকোনো দুর্ঘটনার হাত থেকেও রেহায় পাবেন আপনি।
শীতকালে আরো একটি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট হল রুম হিটার। ঘর গরম রাখতে অনেকেই এটি ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে মানুষেরা এই রুম হিটার বেশি ব্যবহার করে থাকেন। তবে রুম হিটার ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ খরচ কমাতে আপনাকে যা করতে হবে তা হল-
রুম হিটার কিছুক্ষণ চালানোর পর ঘর গরম হয়ে গেলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচ অনেক মাত্রায় কমবে এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কম হবে। রুম হিটারের ফলে শীতকালে অনেক দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়। তাই অবশ্যই ঘর গরম হয়ে গেলে রুম হিটার বন্ধ করা উচিত।
বিদ্যুতের খরচ কম করতে সর্বদা ফাইভ স্টার রেটিং দেখে তবেই হিটার কিনবেন। এটি বিদ্যুৎ খরচ কম করে।