এইভাবে আঙুরের বীজ থেকেই তৈরি করুন আঙুর গাছ, শিখে নিন সহজ পদ্ধতি
“আঙুর ফল টক” প্রবাদ বাক্যে যতই বদনাম হোক রসে ভরপুর স্বাদে পরিপূর্ণ এই ফল কিন্তু বেশ প্রিয় সকলের। বিদেশি ফল হয়েও আঙুরের গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু দেশি ফলের মতই। কেবল টক মিষ্টি স্বাদের জন্য নয় এই ফল শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতেও সাহায্য করে। এমন গুনের ফল যদি বাড়িতেই ফলানো যেত! গাছ থেকেই থোকা থোকা আঙুর পেড়ে টপাটপ মুখে চালান করা যেত! কেমন হতো?
বাড়িতে আঙুরের গাছ আর তাতে থোকা থোকা আঙুর ধরে রয়েছে.. এমন ছবি কল্পনা করেই নিশ্চয়ই ভালো লাগছে? তবে কল্পনাকে চাইলেই বাস্তবায়িত করতে পারবেন আপনি। খুব সহজেই আঙুরের বীজ থেকে তৈরি করে নিতে পারবেন চারা।
জেনে নিন পদ্ধতি-
এর জন্য প্রথমে পরিণত পাকা আঙুর থেকে বীজ বের করে নিতে হবে। বীজের গুণমান পরীক্ষা করতে এগুলিকে জলে ফেলে দিতে হবে। যে বীজগুলি জলের উপর ভাসবে সেগুলোকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।
এবার দ্বিতীয় পর্যায়-
1. এই পর্যায়ে একটা পাত্রে মাটি ভরতে হবে। মাটির বদলে কোকোপিট আর ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
2. পাত্রটিতে অবশ্যই একটি ফুটো থাকতে হবে যাতে পাত্রের তলায় অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যেতে পারে।
3. এবার সাবধানে বীজ রেখে উপর থেকে মাটির পাতলা একটা আস্তরণ দিতে হবে।
4. পাত্রটি এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে আলো আসে কিন্তু রোদ আসে না।
তৃতীয় পর্যায়-
এবার সময় যত্ন করার। বীজ রোপন হয়ে গেলে এরপর থেকে সপ্তাহে তিন দিন জল দিতে হবে। সরাসরি জল দিলে বীজ তার জায়গা সরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই ঝাঁঝরি বা স্প্রের সাহায্যে জল দিতে থাকুন।
কিছু সময় অপেক্ষা করলেই দেখবেন আট দশ দিনের মধ্যে বীজ অঙ্কুরিত হবে আর ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর চারা বড় হবে।
এবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ কারণ এখানে অত্যন্ত সাবধানে চারাগুলোকে একে অন্যের থেকে আলাদা করতে হবে যাতে শিকড় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
প্রতি চারাকে আলাদা পাত্রে যথেষ্ট সারযুক্ত মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে ব্যবহার করতে পারেন শুকনো চা পাতা গোবর সার ইত্যাদি। কিছুদিনের মধ্যেই এভাবে আপনি আঙুরের ফলন করতে পারবেন।