ভারতের সবচেয়ে বড় বাটপার, তাজমহল, লালকেল্লা থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন সবকিছুই বিক্রি করে দিয়েছিলেন ইনি

দেশের সবচেয়ে বড় প্রতারক হিসেবে মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব (Mithilesh Kumar Srivastava)। যিনি একজন ভালো পেশায় নিযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মানুষকে ঠকানো শুরু করেন। জানা যায় পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তবে বহুবার নাম পরিবর্তন করে মানুষকে ঠকিয়ে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেছেন। জিনিস বলা ভুল হবে দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্য পর্যন্ত বিক্রি করেছেন এই প্রতারক।
বর্তমান কালে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে প্রতারণার হার। বলা যায় প্রত্যেক দিন খবরের কাগজে আসছে বড় বড় প্রতারণার ঘটনা। তবে এই মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব (Mithilesh Kumar Srivastava)-এর উপর আর কেউ নেই। যিনি তার চতুরতার মাধ্যমে তাজমহল সহ পার্লামেন্টে সব জিনিস বিক্রি করেছেন।
এমনকি তিনি এতটাই চতুর ছিলেন যে তিনি মানুষকে এমন ভাবে বুঝিয়েছিলেন যে তাজমহলটি সত্যিই তার। প্রায় তিনবার তিনি তাজমহল বিক্রি করেছেন। প্রায় 50 টি ভুয়া নাম ব্যবহার করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন। তবে তার এই জালিয়াতির একটি সুবিধা হল তিনি অন্যের স্বাক্ষর নকল করতে বেশ পারদর্শী ছিলেন। ফলস্বরূপ, সেই স্বাক্ষর নকল করেই তিনি তাজমহলসহ রাজনৈতিক ভবনের সবকিছু বিক্রি করে দেন। এমনকি টাটা, বিড়লা, আম্বানি, মিত্তাল এদের নামও রয়েছে, যাদের সাথে তিনি প্রতারণা করেছিলেন।
তবে তার এই প্রতারণার জন্য তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা জমা হয়। ১১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিথিলেশ (Mithilesh)-কে। তবে তিনি মাত্র ২০ বছর সেই কারাদণ্ড ভোগ করেন। আটটি রাজ্যে পুলিশি তল্লাশি চালানো হয় মিথিলেশকে খোঁজার জন্য। প্রায় ৯ বার গ্রেফতার করা হয় তাকে। তবে বারং বার ফাঁকি দিয়ে জেল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
তবে শেষ বার ৮৪ বছর বয়সে, অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে গ্রেফতার করা হয় মিথিলেশকে। তবে তখনো তিনি পালাতে সক্ষম হন। তবে সেই সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে তাকে চিকিৎসার জন্য কানপুর জেল থেকে পাঠানো হয় এইমস হাসপাতালে। আর সেই সময়ে নয়া দিল্লি স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই নিখোঁজ হয়ে জান তিনি। তবে পরবর্তীতে জানা যায় ২০০৯ সালের মারা যান তিনি। প্রতারক মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তবের এই কাহিনী অনুসারে তৈরি হয়েছিল একটি হিন্দি ছবি। যার নাম ‘মিস্টার নটওয়ারলাল’। যে ছবিতে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)।