এই কারণেই অমৃতাকে ডিভোর্স দিয়ে করিনাকে বিয়ে করেন সইফ! ঘরের গোপন কথা ফাঁস করলেন সারা আলি খান

“বিচ্ছেদই ছিল তাদের জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত” বিচ্ছেদের দীর্ঘ 17 বছর পর সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংয়ের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গেল অভিনেত্রী সারা আলি খানকে। কেরিয়ার ও সিনেমার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বরাবরই বেশ খোলামেলা সারা। তবে তার মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কখনো তাকে কোন মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। ভুটের “অরিজিনাল ফিট আপ উইথ দা স্টারস” শো টির তৃতীয় সিজনের একটি পর্বে অতিথি হিসেবে আসেন সারা এবং সেখানেই তার অভিভাবকদের ডিভোর্স সম্বন্ধে তার দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক কি? তা পোষণ করেন তিনি।
1991 সালে 33 বছর বয়সী অমৃতা সিংয়ের সাথে চার হাত এক হয়েছিল 21 বছর বয়সী সইফ আলি খানের। সেসময়ে এমন অসম বয়সী বিবাহ নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো দেশকে। তবে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই 1995 সালে ফুটফুটে এক কন্যা সারা আলী খাঁনের জন্ম দেন এই দম্পতি। পরবর্তীতে 2001 সালে জন্ম হয় ইব্রাহিম আলী খানের। তবে 2004 সালে তাদের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে যা কালক্রমে বিচ্ছেদের রূপ নেয়।
সইফ অমৃতার এই বিচ্ছেদ নিয়ে এই এপিসোডে সারা জানান, “আসলে ব্যাপারটা কিন্তু খুব সহজ। আপনার হাতে দুটি অপশন রয়েছে। হয় একই বাড়িতে দুজনে অসুখী অবস্থায় থাকুন অথবা আলাদা আলাদা বাড়িতে থেকে নিজেদের মতো দারুণ জীবন যাপন করুন। তাহলে কি হয়, মাঝেমধ্যেই আপনাদের মধ্যে দেখা হবে, পরস্পরের প্রতি সম্মান ও স্নেহও বজায় থাকবে। আমি আমার মা এবং ভাইয়ের সাথে থাকি। মা’ই আমার সবকিছু, আমার পুরো পৃথিবী। এদিকে আমার বাবার সাথেও আমার বন্ধুত্ব দারুন। যখনই ফোন করি তাকে পাই, মন চাইলেই গিয়ে থেকে আসি বাবার কাছে। আসলে সত্যি বলতে মা-বাবা একসাথে মোটেই সুখী ছিলেন না, খুশি থাকার মেজাজটাই যেন তাদের হারিয়ে গেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত টিকেই বেস্ট বলে আমি মনে করি। এতে আমরা তো বটেই পাশাপাশি ওরাও দিব্যি খুশি রয়েছেন নিজেদের মতো।”
2012 সালে বলিউডের বেবোকে বিয়ে করেন নবাবপুত্র। দ্বিতীয় স্ত্রী কারিনার সাথে দারুন বন্ধুত্ব সারা এবং ইব্রাহিমের। মাঝেমধ্যে একসাথে টুকটাক শপিং করতেও দেখা যায় তাদের। করিনা পুত্র তৈমুর এবং জেহকে চোখে হারান সারা। সইফ কারিনার দ্বিতীয় বিবাহতে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল সারা এবং ইব্রাহিমকে। গতবছর কারিনার শো “হোয়াট এ উমেন ওয়ান্ট” এ উপস্থিত থাকতে দেখা যায় সারাকে।