এই সুন্দরী নায়িকার প্রেমে পড়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন মিঠুন, কোনমতে বেঁচে ফেরেন মহাগুরু!

এই বলি অভিনেত্রীর কবলে পড়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন মহাগুরু, দূত হয়ে এসেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। ইন্ডাস্ট্রি জগতের এক জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। যিনি সকলের কাছে মহাগুরু হিসেবে পরিচিত। ৮০-র দশকে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ভালই নাম ডাকছিল অভিনেতার। তবে সেই সময় এমন এক বিষয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন যার জন্য তিনি মরতে মরতে ফিরে এসেছিলেন। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল মিঠুনকে। প্রসঙ্গত, একটা সময় বলি (Bolly) ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ আধিপত্য ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের। যারা ইন্ডাস্ট্রির ছবি নির্মাণ থেকে শুরু করে সবকিছুতেই নাক গলাতেন। আর সেই ডনদের সাথে কোনো তারকার শত্রুতা হলে আর রক্ষে নেই।
তাঁকে পুরো নাকানিচোবানি খাওয়াতেন ডনেরা। আর সেই বিপাকেই পড়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সেই সময়কার আন্ডারওয়ার্ল্ডের মধ্যে কুখ্যাত ডন ছিলেন ইব্রাহিম দাউদ (Ibrahim Daud)। আর তাঁর নজরেই পড়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই বিপদ থেকে অভিনেতাকে বাঁচিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutta)। ঘটনাটা ঠিক কি? কেন মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল অভিনেতাকে? কি করেছিলেন তিনি? জানা যায়, ৮০ দশকে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)-র সাথে মন্দাকিনী (Mandakini)-র জুটি দর্শকমহলে বেশ হিট হয়েছিল।
তাদের কেমিস্ট্রির দর্শকরা দেখতে বেশ পছন্দ করতেন। ফলে দর্শকদের চাহিদার ভিত্তিতে তারা জুটি বেঁধে অনেক ছবিতে অভিনয় করেন। তবে সেই সময় মন্দাকিনীর সাথে সম্পর্ক হয় ইব্রাহিম দাউদের। অন্যদিকে, বলিউডের অন্দরমহলে ছড়িয়ে পড়ে মন্দাকিনী-মিঠুন (Mandakini-Mithun)-এর সম্পর্কের খবর। আর সেই খবর শুনে ক্ষুব্ধ হন ইব্রাহিম (Ibrahim)। মন্দাকিনী-মিঠুন চক্রবর্তী (Mandakini-Mithun Chakraborty)-র এই খবর শুনে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়।
ইব্রাহিম (Ibrahim) তাঁকে দূরে থাকারও নির্দেশ দেন। এমনকি মিঠুনের সাথে মন্দাকিনীর ছবি না হওয়ার জন্য মিঠুনকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন ইব্রাহিম। পরে মিঠুন বুঝতেও পারে যে তাঁকে নজর রাখছে ইব্রাহিমের দল। ফোনের পর ফোন আস্তে থাকে মিঠুনের ফোনে। বারংবার তাঁকে হত্যার হুমকি পাঠানো হয়। সেই সময় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutta)-এর সাথে যোগাযোগ করেন। তবে সঞ্জয় দত্ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার সাথে যোগাযোগ ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ডেল বেশ কিছু ব্যক্তিদের। যার ফলে তিনি মিঠুনকে সেই হত্যার হাত থেকে বাঁচান। এর পাশাপাশি মিঠুনকে মন্দাকিনীর সাথে ছবি না করা নির্দেশও দেন।