মৃত্যুঞ্জয়ী! ২ বার হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার পরেও সুস্থ্য জীবনে ১২ বছরের কিশোরী
সারা বিশ্ব করোনাভাইরাস এর কবলে। ছোট থেকে বড় বাদ যায়নি কোনো বয়সের মানুষ। ৮ থেকে ৮০ সব বয়সের মানুষের শরীরেই কমবেশি বাসা বেধেছে করোনাভাইরাস। একেবারে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার নেহাতই কম নয়। লুইসিয়ানার কোভিংটনে এক ১২ বছর বয়সী বালিকা জুলিয়েট ডালির শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনাভাইরাস। এর পাশাপাশি সে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোমেও আক্রান্ত হয়েছিল। এই ২ অসুখের জেরে সে ভয়ঙ্কর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার হার্টবিট ২ বার বন্ধও হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ওই বালিকা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল জুলিয়েট। আমেরিকায় প্রথম সে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয় জুলিয়েট। সেই অবস্থায় তার বমি, ক্লান্তি এবং জ্বরের পাশাপাশি ঠোঁট ক্রমশ নীলচে হয়ে আসছিল। পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে দেখে জুলিয়েটের মা-বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার পরীক্ষা করে জানা যায়নজুলিয়েট করোনা পজিটিভ এবং পাশাপাশি সে যে রোগে আক্রান্ত তা সারাবিশ্বে গত কয়েক মাসে ব্রিটেন এবং ইটালির খুব অল্প সংখ্যক শিশুদের মধ্যে দেখা গিয়েছে।
প্রথমে জুলিয়েটকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। এরপরে ঠিক করা হয় তাকে অন্য জায়গায় এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হবে, কিন্তু তখনই ঘটে বিপত্তি। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় জুলিয়েটের। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই তাকে সুস্থ করে তোলে চিকিৎসকেরা। এরপর হেলিকপ্টারের জন্য অপেক্ষা করার সময় আরও একবার হার্ট বিট বন্ধ হয়ে যায় তার। হার্ট বিট বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে জুলিয়েটের শরীরের অন্যান্য অর্গান ফেলিওর হতে থাকে। তবে আবারও চিকিৎসকদের অসীম প্রচেষ্টায় বিপদ কেটে যায়। বর্তমানে জুলিয়েট সুস্থ এবং সে এখন অনলাইন ক্লাসও করছে।