করোনা হানা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিশ্ববাসীর। দমকা হাওয়ার মতো উড়ে এসে জাকিয়ের রাজ করছে অদৃশ্য এই ভাইরাস। চোখে দেখা না গেলেও কতটা সাংঘাতিক এই ভাইরাস তা বলাই বাহুল্য। আর তারই মাঝে করোনা হানায় বিপর্যস্ত কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে জনজীবন। করোনার প্রকোপ কমাতে ফের লকডাউনের পথই বেঁছে নিচ্ছে কর্ণাটক-তামিলনাড়ু।
যতই সময় এগোচ্ছে ততই যেন বাড়ছে আতঙ্ক। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুও হয়েছে ৬১৩ জনের। গোটা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বেঙ্গালুরু। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ২২ শে জুলাই পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে এলাকায়।
অন্যদিকে করোনার গ্রাস থেকে বাঁচতে তামিলনাডুতেও লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে এই লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত। আরও দুদিন লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে সেখানে।
আধারের মাঝেও আশার আলো দেখছে ভারত। ভারতে এগোচ্ছে ভ্যাক্সিন তৈরির কাজ। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বাজারে ভ্যাক্সিন আসার দিন ১৫ অগস্ট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার এও শোনা যাচ্ছে গবেষকরা বলছেন, এত তাড়াহুড়ো করা ঠিক নয়। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী বছরের আগে করোনার প্রতিষেধক আসা সম্ভব নয়। তবে, কবে আসবে বাজারে ভ্যাক্সিন সে উত্তর অবশ্য এখনও অধরা।
প্রসঙ্গত,শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৩৭ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৫৫১ জনের। নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৫৩ জন। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ ৯২ হাজার ২৫৮ টি। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬২১ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৬৭৪ জনের।