নিউজ

বাড়িতে কন্যা সন্তান থাকলেই পাবেন ৭৪ লাখ টাকা, আজই খাতা খুলুন এই প্রকল্পের আওতায়- Sukanya Samriddhi Yojana

Advertisement
Advertisement

Sukanya Samriddhi Yojana: ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বরাবরই এই উক্তি শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলাতে। কন্যা সন্তানদের কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় Sukanya Samriddhi Yojana। কন্যা সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে কিংবা বিয়ে দিতে যাতে অভিভাবকদের কোন রকমের সমস্যা না হয় সে কারণেই এই প্রকল্প এনেছে কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি এই প্রকল্পে সুদের হার বহুগুণ বাড়িয়েছে সরকার। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই প্রকল্পের নানান খুঁটিনাটি।

কারা করতে পারবেন বিনিয়োগ-

কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন অভিভাবকরা। কন্যা সন্তানের বয়সের গণ্ডি 10 বছর পেরোনোর আগেই করতে হবে বিনিয়োগ। সন্তানের বয়স 18 বছর কিংবা 21 বছর হওয়ার পর পাওয়া যাবে এই প্রকল্পের টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে বার্ষিক মাত্র 250 টাকা থেকেই জমা করতে পারবেন অভিভাবকরা। দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত করা যাবে বিনিয়োগ।

কীভাবে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট-

যদি কোন অভিভাবকের দুই শিশু কন্যা থাকে তাহলে দুজনের নামে সহজেই আলাদা আলাদা করে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট। 80C ধারা অনুযায়ী মিলবে কর ছাড়। যে কোনো সরকারি ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসে খুব সহজেই খুলে নেওয়া যাবে সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট।

এই প্রকল্পে বর্তমানে 8.2 শতাংশ হারে মিলছে সুদ। যদিও গত বছর পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুদের হার ছিল 7.6 শতাংশ। তবে সম্প্রতি সুদের হার বাড়ানো হয়েছে সরকারের তরফে। ভারতের যে কোনো জায়গা থেকেই খুব সহজেই এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন দেশবাসি। কন্যা সন্তানের বয়স 18 বছর হলে জমা প্রিমিয়ামের 50 শতাংশ প্রত্যাহার করা যায়।

সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মাবলী-

কন্যা সন্তানের নামে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন অভিভাবকরা।

এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কন্যার বয়স হতে হবে 10 বছরের মধ্যে।

একই পরিবারের সর্বোচ্চ দুজন কন্যার নামে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্পে করা যাবে বিনিয়োগ। আর যদি যমজ সন্তান হয় তাহলে তারা ছাড়াও আরও এক কন্যা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র-

এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করার জন্য পিতা মাতার আধার কার্ড

আয়ের শংসাপত্র এবং বসবাসের শংসাপত্র

মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল আইডি

পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রয়োজন পড়বে।

Related Articles