সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদে নেমে মাদকচক্রের হদিস পায় তদন্তকারীরা। আর তারপরেই নিয়মিত মাদক নেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। অবশেষে ২৯ দিন জেলে কাটিয়ে জামিন পেলেন রিয়া চক্রবর্তী।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮১ দিন পর গত ৮ সেপ্টেম্বর এনসিবির জেরার মুখে সব শিকার করে নিয়েছিলেন সুশান্ত বান্ধবী রিয়া। ড্রাগ ও নিয়মিত মাদক সেবন করার অপরাধে সেদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে। নরম পালঙ্ক ছেড়ে জেলেই মাটিতে চাটাই পেতে দিন কাটাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এরই মাঝে এদিন রিয়া চক্রবর্তীকে জামিন দেয় মুম্বই হাইকোর্ট।
এক লক্ষ টাকার বন্ডে এদিন মুম্বই হাইকোর্টের জাস্টিস এস ভি কোতওয়াইয়ের সিঙ্গল বেঞ্চ রিয়া চক্রবর্তীকে জামিন দেয়। তবে, আদালতের কড়া নির্দেশ মুম্বই ছাড়তে গেলেও তদন্তকারীদের অনুমতি নিতে হবে রিয়াকে। বিদেশ যাওয়া চলবে না। তাঁকে পাসপোর্টও জমা রাখতে বলা হয়। দশ দিন বাদে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। রিয়ার পাশাপাশি এদিন জামিন পেয়েছেন স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্তরাও। তবে এখনও জামিন পাননি রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী আর আবদুল বাসিত।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ই জুন সকলে জানতে পারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলিউড চকলেট বয় সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্তের মৃত্যুর পরই তোলপাড় হয়ে যায় সিনে দুনিয়া। এর পরেই সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদে তদন্তে নামে সিবিআই। তদন্তে নেমে এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই খুলে যায় সমস্ত রহস্য। সেই চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। এরপর সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি। আর এরপরেই রিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। যদিও বর্তমানে জামিনে মুক্ত রিয়া চক্রবর্তী।