নদীয়া;-রাত পোহালেই জামাই ষষ্ঠী। রীতি অনুযায়ী এই দিনে মেয়ের বাবা মা তার জামাইকে ষষ্ঠী রূপে বরণ করে নেন। প্রত্যেক বছর এই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ব্যাপক চাহিদা থাকে মিষ্টির। কিন্তু এবছর করোনা আবহে লকডাউন চলায় জামাইষষ্ঠীতে তেমন বিকিকিনির লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন না মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। বুধবার জেলার বিভিন্ন মিষ্টিরদোকানি দাবি করেন যে, জামাইষষ্ঠীর বিশেষ মিষ্টির প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। যাতে ক্রেতারা বিশেষ সুবিধা পাবেন। কিন্তু তাতেও হেলদোল নেই জামাইদের।
অন্যদিকে তালশাঁস, আম কাঁঠাল লিচু অন্যত্র পরিবহন না হওয়ার কারণে দাম হাতের নাগালে, কিন্তু বেশিরভাগ কর্মহীন গৃহবন্দি মানুষের উৎসব হিসেবে নয়, খাবার দরকার পেট ভর্তির জন্য। আর আশীর্বাদ? সেটাও পারস্পরিক দূরত্ব রেখে করলেই মঙ্গল। শাশুড়িরা এ বিষয়ে খানিকটা সহমত পোষণ করলেও মেয়েরা একেবারেই নাছোড়বান্দা। বছরের একটা বার বাপের বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রামের সাথে কর্তৃত্ব ফলানো হাতছাড়া করতে চান না তারা।
লকডাউন এ কর্তব্যরত প্রশাসনকে বোঝানোর দায়িত্ব জামাই দের কাছ থেকে কাঁধে তুলে নিয়েছেন মেয়েরা। জামা কাপড়, খাদ্য খাবার, নিয়ম কানুন কিছুই চাই না পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যদের মায়ের সাথে গলা মিলিয়ে তারাও যেতে চান দিদাদাদুর বাড়িতে। শেষমেষ যদি যেতেই হয়! হাতপাখা একটা নেওয়া চাই।