Featuredনিউজ

Enforcement Director: ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কোথায় যায়? জেনে নিন

রাজ্যের নানা মন্ত্রীর বাড়িতে উদ্ধারকৃত কয়েক কোটি টাকা কোথায় গেল? জানুন

Advertisement
Advertisement

গত বছর প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো কয়েক কোটি টাকা, গহনা ইত্যাদি। এই টাকা বাজেয়াপ্ত করলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিছুদিন আগে প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের বাড়ি থেকেও উদ্ধার করা হলো কয়েক কোটি টাকা। সেই টাকা বা বেআইনি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করলো ইডি (Enforcement Director)। এবার প্রশ্ন হলো ইডির বাজেয়াপ্ত করা এই টাকা যায় কোথায়? তারই উত্তর জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।

ইডি যদি কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে বেআইনি অর্থ বা সম্পদ বাজেয়াপ্ত বা উদ্ধার করে তার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। প্রথমেই বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির লিস্ট তৈরি করতে হবে। সেখানে কত গুলি নোটের কত টাকা এবং কত বান্ডিল রয়েছে সেটা হিসাব করতে হয়, তারপরও সেগুলিও লিস্ট করতে হয়। কোনো বিদেশী নোট রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হয় ইডিকে (Enforcement Director)। এছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন করা হয়েছে তারও হিসাব বের করা হয়।

বাজেয়াপ্ত করা নথি রাখতে হয় ইডির কাছে। তদন্তের সময় এই সব প্রমান হিসাবে কোর্টে পেস করতে হয়। তবে এত জন্য সময় থাকে মাত্র ১২০ দিন অর্থাৎ ৪ মাস। এই দিনের মধ্যে ইডি (Enforcement Director) যদি বাজেয়াপ্ত করা টাকা বা সম্পত্তি বেআইনি ভাবে প্রমান না করতে পারে থাহলে সেই বাজেয়াপ্ত করা টাকা সুদ সহ ব্যাংকে ফেরত দিতে হয়। তবে টাকা বেআইনি প্রমাণিত হলে কেন্দ্র সরকারের কোষাগারে সেই অর্থ জমা পরে। এভাবে গত ৬ বছরে প্রায় কয়েক লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে ভারত সরকারের কোষাগারে।

বাজেয়াপ্ত করা টাকা উদ্ধার করে বিভিন্ন অধিকারিকদের দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেই টাকা বস্তায় ভরে সিল করে দেওয়া হয়। যাকে বলে সিজার মোমো। এরপর যতদিন মামলা চলবে এই টাকা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে জমা থাকে। তবে মামলা চলাকালীন কেন্দ্র সরকার কিংবা ব্যাংক কিংবা কোনো ইডি (Enforcement Director) আধিকারিক কিংবা অভিযুক্ত কেউই এই অর্থ ব্যবহার করতে পারে না। আবার যদি অভিযুক্ত নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে এই টাকা তাকে ফেরত দিয়ে দিতে হয়।

Related Articles