চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া, প্রয়াত বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা শামসুজ্জামান
বাংলাদেশের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব এ টি এম শামসুজ্জামান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। তিনি একাধারে প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক ছিলেন। সকালে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর কন্যা কোয়েল আহমেদ এই খবরটি দেন সংবাদমাধ্যমকে।
ঢাকা ট্রিবিউনে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিলো। শুক্রবার দুপুরে তিনি হাসপাতাল থেকে ফেরেন, অ্যাজমা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বিগত শুক্রবারে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তবে এই বৃহস্পতিবারে তাঁর স্বাস্থ্যে উন্নতি দেখা গেছিলো।
সিটিস্ক্যান সহ অন্যান্য রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকায় তারপর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় শুক্রবার সকালেই, তবে ২৪ ঘন্টাও কাটতে না কাটতেই আর শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার সকালেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রয়াত হন এই বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র তারকা।
আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বা এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনয়ে অবদানের জন্য ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার পেয়েছেন। তার সাথেই মোট ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন শামসুজ্জামান। আমি কে (১৯৮৭), ম্যাডাম ফুলি (১৯৯৯), চুড়িওয়ালা (২০০১), ও মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), চোরাবালি (২০১২)-র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকদের মনের কাছাকাছি। তাঁর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে শামসুজ্জামানকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর প্রয়াণে।