লাইফস্টাইল

গরমে আইসক্রিম খাচ্ছেন? কি মারাত্মক বিপদ হতে পারে জানেন?

Advertisement
Advertisement

Health Tips: গরমের দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। সকাল ৭ টা বাজতেই প্রখর রোদে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমজনতাকে। এই পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই ভরসা রাখছেন আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানিওতে। তবে কখনো ভেবেছেন এতে কী আদৌ শরীর এবং মন ঠান্ডা হয়? নাকি সমস্যা বাড়ে আরও? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? অজানা তথ্য রইল এই প্রতিবেদনে।

বয়সটা ৮ হোক কিংবা ৮০। আইসক্রিম খেতে ভালোবাসেন সকলেই। তবে আইসক্রিম খেলে কিন্তু শরীর বা মন ঠান্ডা হয় না। বরং শরীরের তাপমাত্রা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বেশ কয়েকজন গবেষক। আর সেখানেই পাওয়া গেল এক অদ্ভুত তথ্য। গবেষকদের মতে, গরমে আর যাই হোক আইসক্রিম খাওয়ার ফলে শরীর, মন কিছুই ঠান্ডা হয় না। আসলে আইসক্রিমে থাকা পূর্ণ ননির দুধ, শর্করা, ফ্যাট আমাদের শরীরে নানান সমস্যার সৃষ্টি করে।

ফ্যাট, প্রোটিন আর শর্করার সমন্বয় তৈরি আইসক্রিমের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খুব কমই রয়েছে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আইসক্রিম তৈরির উপাদান ভাঙতে গিয়ে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় তা শরীরের তাপমাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আর এতেই গরমে অস্বস্তি, পেট ফাঁপা, বদ হজমের সমস্যা বেড়ে যায় বহুগুণ। আসলে আইসক্রিম খাওয়ার পর মাত্র কিছুক্ষণের জন্য ঠান্ডা অনুভব করা হলেও এই খাবার পরিপাকক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক পরিস্থিতি বিগড়ে দেয়। তাই যদি আইসক্রিম খেতেই হয় তাহলে বেছে নেওয়া যেতে পারে ঠান্ডার সময়। অর্থাৎ গরমকালের বদলে শীতকালে খাওয়া যেতে পারে আইসক্রিম।

বর্তমান সময়ে বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। বাড়তি ওজন কমাতে কেউবা ছুটে যাচ্ছেন জিমে তো কেউ আবার ভরসা রাখছেন কঠোর ডায়েটে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যদি আইসক্রিম খাওয়া হয় তাহলে ওজন কমার তুলনায় উল্টে বেড়ে যাবে। আর এতেই সমস্যায় ভুগতে হয় আমজনতাকে। তবে কেবলমাত্র কিন্তু আইসক্রিম নয়, ভুল করেও গরমের হাত থেকে বাঁচতে কোনো ধরনের ঠান্ডা পানীয় খাওয়া উচিত নয় মোটেই। এই সকল পানীয়তে থাকে অতিরিক্ত চিনি, যার ফলে ওজন বেড়ে যায় বহুগুণ।

গ্রীষ্মকালে যদি ঠান্ডা পানীয়তে ভরসা রাখতে হয় তাহলে খাওয়া যেতে পারে ডাবের জল। এমনকি ফলের রসও খাওয়া যেতে পারে গ্রীষ্মকালে। তবে বাজারে পাওয়া প্যাকেটজাত ফলের রস খাওয়া উচিত নয় মোটেই। বদলে বাড়িতে ফল নিয়ে এসে সেই ফলের রস তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।

Related Articles