চাণক্য ছিলেন কূটনীতিতে অত্যন্ত আদর্শ একজন আচার্য। তার কূটনীতিশাস্ত্র আজও মানুষের মধ্যে আগ্রহ সঞ্চয় ঘটায়। তাই বলে যাওয়া প্রতিটি একটি আজও সমান অর্থপূর্ণ। আমাদের জীবনে চলার পথে সবসময় সরল ভাবে চললে অনেকসময় ঠকতে হয়, তাই চাণক্যের নীতি অনুসরণ করলে সব ধরনের সমস্যা বুদ্ধি দিয়ে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। জীবনে কিভাবে চলা উচিত যাতে উন্নতি হয় তার পথও দেখিয়ে গিয়েছেন তিনি।
আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি বা আর্থিক অবস্থার উন্নতি আমরা সকলেই চাই। অনেকেই তার জন্য লক্ষীদেবীর পুজোও করেন। কিন্তু চাণক্য বলেছেন লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ সেই ব্যক্তির উপরে বজায় থাকে যিনি সাহসী ও দক্ষ।
তার নীতি অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি ধনী হতে চান তবে তাকে সর্বদা অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত থাকা উচিত। জীবনে ঝুঁকি নিতে হবে, সাহস করে এগিয়ে আসতে হবে তবেই লক্ষীদেবীর আশীর্বাদ মেলে।
এর পাশাপাশি তিনি স্থিরতার কথা বলেছেন। তার মতে বিচক্ষণতার সাথে প্রত্যেকটি পদক্ষেপ ফেলতে হবে। আর সৎ পথে থাকতে হবে ও সর্বদা ভুল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অর্থ খুব চঞ্চল যারা ভুল পথের মাধ্যমে বেশি টাকা অর্জন করতে চাই সেই অর্থ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। অর্থাৎ অর্থ উপার্জনের জন্য অবশ্যই সঠিক পথ বেছে নিতে হবে। তবেই সম্মান, সন্তুষ্ট ও ধনী হতে পারবেন।