অফবিটনিউজ

সামনে আরও ভয়ংকর বিপদ, বাঁচবে না সাধারণ মানুষ! আগাম বার্তা বিজ্ঞানীদের

Advertisement
Advertisement

চলতি বছর শুরুর দিন থেকেই একটাও ভালো খবর আসেনি বিশ্ববাসীর জন্য। কখনও অদৃশ্য ভাইরাস করোনা তো কখনও ঘূর্ণিঝড় আম ফান। নানান সময়ে বিভিন্ন খারাপ খবরে জর্জরিত বিশ্ববাসী। এরই মাঝে ফের খারাপ খবর, পৃথিবী পরিণত হবে আগুনের গোলায় এবার এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের দাবি তারা গবেষণা করে দেখেছেন, সব স্বাভাবিক নিয়ম পৃথিবীর বদলে যাবে। প্রায় পাঁচ কোটি গুণ উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে আগামী এক শতকের মধ্যে পৃথিবীর। যার জেরে পাল্টে যাবে আবহাওয়া আর যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকার উপযোগী থাকবে না। যদি সঠিক সময়ে পৃথিবীতে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ না কমে তাহলে আর কোনও উপায় থাকবেনা। এই উষ্ণতা বৃদ্ধির হার আটকানো কারোর পক্ষে সম্ভব হবে না। পৃথিবী এতদিন ধরে রায় আইস হাউজ স্তরে ছিল ধীরে ধীরে গ্রিনহাউস গ্যাসের বহির্গমন বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি ওয়ার্ম হাউজে পরিণত হয়েছে। যদি আরও গ্রিনহাউস গ্যাসের বহির্গমন চলতে থাকে তাহলে ধীরে ধীরে হট হাউসে পরিণত হবে ফলে উষ্ণতা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাবে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন পরবর্তী কালের আবহাওয়া বর্তমান আবহাওয়ার থেকে একেবারে বদলে যেতে পারে। এই পরিবর্তনের সাধারণ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হবে না। জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত পৃথিবী মোট চার রকম ভাগে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখেছে। তার মধ্যে রয়েছে ‘‌হট হাউস’‌, ‘‌ওয়ার্ম হাউস’‌ ‘‌কুল হাউজ’ ও‌ ‘‌আইস হাউস’‌‌।

গ্রিনহাউস গ্যাসের বহির্গমন চলতে থাকলে ধীরে ধীরে হট হাউসে পরিণত হবে শুধু তাই না উষ্ণতা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাবে যেটা ৩৪ মিলিয়ন বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই সময়টাই হয়তো আবার ফিরে আসবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গড়ে উষ্ণতা তা বৃদ্ধি পেতে পারে ১৬ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত অর্থাৎ কিনা ৯ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্র থেকে যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয় তা যদি এরকমই চলতে থাকে তাহলে ২৩০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে, গত পাঁচ কোটি বছর এই পৃথিবী তা দেখেনি। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা এক গবেষণা করছে। তারাডাইনোসরের সময় কিরকম পৃথিবীতে উষ্ণতা ছিল তা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিচে খুঁড়ে একটি জীবাশ্ম বের করে সেই ফসলের নানা গবেষণা করে দেখেছেন।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles