সোমবার থেকে কলকাতা সহ ১৩ টি শহরে শুরু হবে পঞ্চম দফার লকডাউন। দেশে সর্বমোট করোনা সংক্রমণকারী দের মধ্যে ৭০% আক্রান্ত রয়েছে ওই শহরগুলিতে। তাই সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার থেকে কড়া নজরদারি চলবে সেই সমস্ত শহরগুলিতে। মোট আক্রান্তের নিরিখে দেশের ১৪৫ টি জেলাকেও নতুন করে হটস্পট হিসেবেও চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা তার ঘোষণায় ওই জেলাগুলো দেশের করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে, এমনটা বলেছেন।
দেশে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তা সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে উঠছে চিকিৎসকরা। এর মধ্যে দেশের ১৩ টি শহরে পঞ্চম দফার লকডাউন লাগু হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। শহরগুলি হল- মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি, আহমেদাবাদ, থানে, পুণে, হায়দরাবাদ, কলকাতা-হাওড়া, ইন্দোর, জয়পুর, যোধপুর, ছেঙ্গালপাট্টু, তিরুভাল্লুর। কড়া হাতে এই শহরগুলিতে করোনার মোকাবেলা করতে হবে। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার শেষ হচ্ছে রবিবার শেষ হচ্ছে লকডাউনের চতুর্থ পর্ব। তার আগে সংক্রমিত শহরগুলির সার্বিক পরিস্থিতি দেখে করা হাতে হাল ধরতে চেয়ে গত বৃহস্পতিবার সেই মর্মে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করে কেন্দ্র। সেখানে মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তবে পঞ্চম দফার লকডাউন কেমন হবে তা ঠিক করার জন্য রাজ্যগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়। পঞ্চম দফার লকডাউনে অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকবে কড়া বিধি নিষেধ, যা মেনে চলতে হবে রাজ্যগুলিকে। এমনটা সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার সচিব রাজীব গৌবা প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন যে, সামগ্রিকভাবে পূর্ব ভারত করোনার হটস্পট হয়ে উঠতে পারে, কারণ করোনায় যে রাজ্যগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেখান থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা পূর্ব ভারতে ফিরেছেন। সেদিন পূর্ব ভারতের রাজ্য সরকারের দিকে তীর ছুঁড়ে মন্ত্রিসভার সচিব বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা সহ পূর্ব ভারতের ১২ টি রাজ্য করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এর আগে ঠিকমতো জানায়নি, যার কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে পূর্ব ভারতের করোনা সংক্রমণের হার এত পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে’। তাই এই ভাইরাস কে নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে সাবধান হয়ে যান। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কড়া হাতে কোমর বেধে লড়তে হবে।