মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো রাশি রাশি স্বর্ণ মুদ্রা, গুপ্তধনে ভাগ্য বদল একদল যুবকের
অনেক সময়ে বইয়ের পাতায় বা সিনেমার পর্দায় উঠে এসেছে গুপ্তধনের বিষয়টি। কিন্তু কখনও চোখে দেখেছেন গুপ্তধন? কতজনেরইবা ভাগ্য হয় চোখের সামনে গুপ্তধন দেখার। ওই যে বলে ভাগ্য, ভাগ্যে থাকলে সবকিছুই সম্ভব। আর এবার সেই ভাগ্যের শিকে ছিড়ে গুপ্তধনের সন্ধান পেল একদল যুবক।
সম্প্রতি মধ্য ইজরায়েলের একটি জায়গায় নতুন একটি বসত অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর ওই এলাকায় মাটি খুঁড়তে যায় একদল যুবক। স্বেচ্ছায় সেখানে মাটি খুঁড়তে গিয়ে গুপ্তধনের সন্ধান পেল তারা। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, যে এলাকায় ওই গুপ্তধন মিলেছে, সেখানে সম্ভবত কোনও কারখানা ছিল। আর সেখানেই মাটি খুঁড়তে গিয়ে মাটির পাত্রে রাখা সোনার কয়েনের হদিশ পেল ওই যুবকের দল।
এই প্রসঙ্গে যে স্বেচ্ছাসেবকরা গুপ্তধনের হদিশ পেয়েছে তাদের একজন ওজ কোহেন বলেন, ‘মাটি খুঁড়ছিলাম। মাটি সরাতেই একটা কিছু চোখে পড়ল-পাতলা পাতার মতো। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখি সোনার কয়েন। এমন অসাধারণ ও প্রাচীন সম্পদ খুঁজে পাওয়াটা একটা দারুণ ব্যাপার ‘। সূত্রের খবর,এক হাজারের বেশি বছর ধরে মাটির তলায় মাটির পাত্রে চাপা পড়েছিল উদ্ধার হওয়া সোনার কয়েনগুলি।
এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের পুরাতত্ত্ব কর্তৃপক্ষ জানায়,’এই গুপ্তধনের সন্ধান মিলেছে গত ১৮ অগাস্ট’। পুরাতত্ত্ব বিভাগের সোনার কয়েন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ রবার্ট কুল এই কয়েন প্রসঙ্গে জানান, ‘ এই ২৪ ক্যারাটের বিশুদ্ধ সোনার কয়েনগুলির দাম সেই সময় ছিল প্রচুর। ওই সময় মিশরের সম্বৃদ্ধ রাজধানী ফাসটাটে প্রাপ্ত কয়েনের দাম দিয়ে একটা বিলাসবহুল বাড়ি কেনা যেত’। অন্যদিকে,খনন কাজের ডিরেক্টর লিয়াত নাদভ-জিভ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ যে ব্যক্তি হাজার বছর আগে মাটির ভেতরে এই সোনার কয়েনগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি হয়তো আশা করেছিলেন পরে তা বের করে কাজে লাগাবেন। আর তার জন্যই মাটির পাত্র, যাতে নড়াচড়া না করে। এমনকি তিনি পেরেকও পুঁতে দিয়েছিলেন। যদিও এ সম্পদ কার তা এখনও জানা যায়নি কেনই বা তিনি ফিরিয়ে নেন নি তাও জানা যায়নি।