করোনা সংক্রমণে দেশের যা পরিস্থিতি তা আরো ভয়াবহ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া-এর। জুন-জুলাই মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার গুলেরিয়া একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সময়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত খুব ভেবেচিন্তে নেওয়া উচিত। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোতে চলেছে। তাই লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। যেকোনো রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে সরকারকে।
এর পাশাপাশি সংক্রমণের হার কিভাবে কমানো যায় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।” ভারতের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৬০ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে (৫৯,৬৬২) এবং মৃতের সংখ্যা ১৭৮৩। মে মাস পড়ার পর থেকে প্রতিদিন রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমনের হার। দেশজুড়ে লকডাউন জারি রেখেও কোনভাবে ঠেকানো যাচ্ছেনা সংক্রমন। ২৪ শে মার্চ অর্থাৎ যেদিন থেকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয় সেই সময়ে দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৬০০ এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। কিন্তু লকডাউনের ৪৩ দিনের মাথায় দেখা গিয়েছে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি।
এই পরিসংখ্যান নজরে আসার পরেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গুলেরিয়া। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “৪০ দিন লকডাউনের পরেও সংক্রমণের হার যখন এভাবে বেড়েছে, তখন এই বিষয়টি খুবই চিন্তার। টেস্টের সংখ্যা বাড়তে প্রচুর আক্রান্তের সংখ্যা সামনে এসেছে। এখন সরকারের উচিত রেড জোন এবং হটস্পট এলাকাগুলির উপর ভাল করে নজর দেওয়া।”