যৌনাঙ্গের লঙ্কার গুঁড়ো, খুন্তির আঘাত নাবালিকাকে! এক নিশংস ঘটনার সাক্ষী থাকলো দমদম। দমদমের এক হোমে ৯ বছরের নাবালিকার উপর এমনই অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছিল হোমের সিনিয়ররা। জানা যাচ্ছে গত চার মাস ধরে ওই নির্যাতিতা নাবালিকার ওপর নির্মম অত্যাচার চালানো হচ্ছিলো।
জানা গেছে, বাবা মা মারা যাওয়ার পর মাসির কাছে ক্যানিং এর তালদি এলাকায় কৃষ্ণ কলোনি গ্রামে নির্যাতিতা নাবালিকা এবং তার বোন থাকতে শুরু করে। তবে মেশো কাউকে কিছু না জানিয়েই একদিন হঠাৎ দুই বোনকে হোমে রেখে দিয়ে আসে। তারপরেই ওই দুই নাবালিকার ওপর চলতে থাকে পাশবিক নির্যাতন।
নির্যাতিতা নাবালিকার মাসি মেসো তাকে চার মাস পর দেখতে গেলে তারা দেখেন বারান্দার এক কোনায় পড়ে রয়েছে নাবালিকা, তার সারা শরীরে দগদগে ঘা তে ভর্তি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বিধিয়ে দেওয়া হয়েছে সেফটিপিন। সেফটিপিন দিয়ে লেখা হয়েছে সিনিয়রদের নাম।
এরপর মাসি তড়িঘড়ি করে ওই দুই নাবালিকাকে নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন, এবং ঘটনা জানাজানি হতে পুলিশের কাছে যায় খবর। তবে ঘটনাটি দমদমে ঘটার কারণে ক্যানিং থানার পুলিশ এফআইআর নিতে অস্বীকার করে এবং জানায় দমদম থানাতেই নির্যাতিতার এফআইআর দায়ের করতে হবে। আপাতত ওই নাবালিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।