প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা বাড়ল, বঞ্চিত হতে পারেন ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থী, আদালতের সিদ্ধান্ত?
Primary Teacher Recruitment: নতুন জটিলতা জন্ম নিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teacher Recruitment)। যার ফলে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। এই বিষয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India) রায় দিয়েছিল, যাঁরা ১৮ মাস বিশিষ্ট ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এইবার একই পথ অনুসরণ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) প্রাথমিক পর্ষদকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে একাধিক। অনেকের প্রশ্ন, তাহলে যাঁরা ১৮ মাসের ডিএলএড কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের কি কোনো ভবিষ্যৎ নেই? তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, তাঁদের কাছে সেই প্রশিক্ষণের মূল্য কী থাকবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উপরে ভিত্তি করেই মামলা পৌঁছায় আদালতে। এইবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল তথা বৃহস্পতিবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। আগামী শুনানি হবে ২০২৪ সালের ৪ঠা জানুয়ারি তারিখে। ওইদিন পর্ষদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুনতে চায় আদালত।
iPhone 15-র মতো ফিচার্স রয়েছে ১০ হাজারের এই ফোনে, মার্কেটে আসতেই হুড়িয়ে বিক্রি শুরু
১৮ মাসের ডিএলএড কোর্স (Primary Teacher Recruitment New Update)
পূর্বে অনেকেই বিনা প্রশিক্ষণে স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াতে শুরু করেন। এই অবস্থায় তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে একটি ১৮ মাসের কোর্স শুরু করা হয় ২০১৭ সালে। এক্ষেত্রে ‘ওপেন এন্ড ডিস্ট্যান্স লার্নিং’ পদ্ধতি অবলম্বন করে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’-এর অধীনে ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কোর্স যদিও চাকরিরত টিচারদের জন্য চালু হয়েছিল, কিন্তু অনেক চাকরিপ্রার্থীকেও এই কোর্সের অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়। একইসঙ্গে কিছুজন এই কোর্স করে নিয়ে চাকরির জন্যও আবেদন করে বসেন।
২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগে বহু চাকরিপ্রার্থী এই ১৮ মাসের কোর্স করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট উত্তরাখণ্ডের একটি মামলায় এই ১৮ মাসের কোর্সের প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।