সবে মাত্র ২০ বছর কাটিয়ে নতুন বছরে পা রেখেছে গোটা দেশ। কিন্তু এরই মাঝে বছরের শুরুতেই ফের দুঃসংবাদ। আচমকা অসুস্থ হয়ে পরলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বাংলার দাদাকে। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা চিকিৎসার সময় লড়াকু সৌরভের সহযোগিতা প্রশংসাও করেছেন।
সৌরভের পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সকাল বেলা জিম করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন দাদা। পিঠে এবং বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরেই আচমকা ব্ল্যাক আউট হয়ে পড়ে যান তিনি। এর পরে তাকে তড়িঘড়ি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি। তবে হঠাৎ করে কি কারনে তার এই সমস্যা হলো তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে,সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে সন্ধ্যেবেলা হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন। মহারাজকে দেখে বেরিয়ে তিনি ভাল আছেন বলেই এদিন জানিয়েছেন। এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অসুস্থতার খবর পেয়ে সর্বপ্রথম টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তার টুইটারে জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি হাসপাতালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কে দেখতে যান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। সকলেই বলেন সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন সৌরভ। সকলেই ‘দাদা’-র লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছেন।
সৌরভের অসুস্থতা প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে জানানো হয়েছে, সৌরভের তিনটি ধমনীতে ব্লকেজ রয়েছে। এর পরেই মহারাজের একটি স্টেন্ট বসানো হয়। প্রথম স্টেন্ট বসানোর পর সংকটমুক্ত রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাকি দুটি স্টেন্ট বসানো হবে কিনা তা নিয়ে আগামীকাল পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসক সরোজ মন্ডল এবং সপ্তর্ষি বসুর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।
তাকে আইসিসিইউ ২ তে রাখা হয়েছে। চা-বিস্কুট খেয়েছেন তিনি। রাতে দেওয়া হবে হালকা খাবার। এছাড়াও আপাতত চার পাঁচ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে। আগামী ৪৮ ঘন্টা তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হবে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আনুষঙ্গিক চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই মুহূর্তে হাসপাতালে তার স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, তার দাদা স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় এবং পারিবারিক বন্ধুবান্ধব রয়েছেন।
