বিশ্ব জুড়ে চাহিদা, বাজারে আসার আগেই ভারত-সহ ২০ দেশ থেকে ভ্যাকসিনের অর্ডার পেল রাশিয়া
পুতিন জানান, ভারত সহ আরও ২০ টি দেশ এই ভ্যাকসিন চেয়ে রেখেছে। আর এর পরিমাণ ১ বিলিয়ন অর্থাৎ ১০০ কোটি ডোজ।
গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস একপ্রকার মায়াজাল রচনা করেছে। আর এই জালে আটকে পড়ছে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে স্বস্তির খবর দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার তিনি বিশ্বে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সাফল্য ঘোষণা করেন।
রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিনটি হল ‘স্পুটনিক ভি’। পুতিন জানান, ভারত সহ আরও ২০ টি দেশ এই ভ্যাকসিন চেয়ে রেখেছে। আর এর পরিমাণ ১ বিলিয়ন অর্থাৎ ১০০ কোটি ডোজ। ভারতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের পাশাপাশি উৎপাদন হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। পুতিনের দাবি, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। আর এটা তিনি শুধু মুখেই বলেননি তার কন্যা প্রথম ডোজ শরীরে নিয়ে প্রমাণ করেছেন। RDIF অর্থাৎ রাশিয়ার ডাইরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ডের প্রধান হল ক্যারিল দিমিত্রিভ। তিনি একটি অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাশিয়ার গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য ইতিমধ্যেই কুড়িটি দেশ থেকে ১ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের আর্জি এসেছে।
চলতি বছরের মধ্যেই ২০ কোটি ডোজ উত্পাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার। এর মধ্যে শুধু রাশিয়ার জন্য ৩ কোটি ডোজ। পুতিন রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক ভি’ কে নিরাপদ বলে দাবি করলেও অনেক তর্ক- বিতর্ক উঠছে এই নিয়ে। যেখানে অক্সফোর্ড, মোডার্না এখনও তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে সেখানে রাশিয়া ভ্যাকসিনের প্রথম স্তরের ট্রায়ালের পরেই এটিকে সফল ভ্যাকসিন বলে ঘোষণা করলো। অনেকে এটিকে তাড়াহুড়ো বলেই মনে করছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স এবং ভারতে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের কথা জানিয়েছে RDIF।
এছাড়া ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরির জন্য ভারত সহ ব্রাজিল, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এবং কিউবার সাথে সাথে হাত মেলাবে রাশিয়া, এমনটাই রুশ সরকারের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। ভারতও রাশিয়ার তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে, মস্কো এরকম দাবি করলেও নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসও অপেক্ষায় রয়েছে এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কি মন্তব্য করে।