কথায় বলে ‘এক রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর’। বর্তমানে সেই অবস্থা মধ্যবিত্তর। লকডাউনে জেরে এমনিতেই কর্মসংস্থানের সমস্যা দেখা দিয়েছে বহু মানুষের। অনেকের ঘরেই চড়ছে না হাঁড়ি। বর্তমানে পকেটে টান প্রত্যেকটি মধ্যবিত্তর। এরই মাঝে আতঙ্কের খবর। করোনা আবহের মাঝেই ফের দাম বাড়ছে ভর্তুকিহীন গ্যাসের।
গত ৩ মাস ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি একদিকে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। অন্যদিকে জুন, জুলাই মাসে পর পর ২ বার দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের। ফলত গ্রাহকরা মনে করেছিল হয়তো আগস্ট মাসে কমতে পারে গ্যাসের দাম। কিন্তু আদতে বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ফের বাড়ছে ভর্তুকি রান্নার গ্যাসের দাম।
তবে, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার গ্যাসের দাম বিনিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে চাইছে। সরকারের যুক্তি এর ফলে বিদেশি লগ্নি বাড়বে। এর ফলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশেই গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশের তেল কোম্পানিগুলি প্রতি মাসের প্রথমদিনে সেই মাসের জন্য দাম নির্ধারণ করে থাকে। এই দাম ঠিক করার ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ নিয়ন্ত্রণ থাকে। তবে, ক্রমাগত গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্ষুব্ধ আমজনতা। এমনকি ভর্তুকির টাকা কতটা পাবেন গ্রাহকরা তাও জানানো হয়নি। গ্রাহকরা ১৪.২ কিলো এলপিজি সিলিন্ডার নিলে আগস্ট মাসে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা ভর্তুকি পেতে পারেন তা এখনও অধরা।