সাইক্লোনের পর প্রায় ৪৮ ঘন্টা কেটে গিয়েছে অথচ এখনো রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঠিক হয়নি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সেসব এলাকা গুলি ২ দিন ধরে বিদ্যুৎ হীন অবস্থাতেই দিন কাটাচ্ছে। কোনরকম ইন্টারনেট কানেকশনও নেই। এই সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান সমস্ত সংযোগ ফেরানোর জন্য প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে আজ বাংলা পরিদর্শনে দিল্লি থেকে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বাড়িতেও টিভি চলছে না।” মোবাইল কানেকশন ছাড়া আর কিছু নেই, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, ‘এই দুর্যোগ জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও অনেক বেশি’। তিনি আরো বলেন, ‘সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই বাংলা স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তবে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে’। এদিন নবান্ন থেকে বেরিয়ে একাধিক জায়গা পরিদর্শন করে তিনি বলেন, ‘এক দিকে করোনা প্রতিরোধ এবং তার জেরে লকডাউন চলায় রাজ্যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে, তার উপর আবার সাইক্লোন। একসাথে ৩ টে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা। এই চ্যালেঞ্জ জিততে আমাদের সকলকে একসাথে লড়তে হবে’।
আমফানের জন্য রাজ্যে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখে তা কেন্দ্রের কাছে পেশ করা হবে। তার ভিত্তিতে কেন্দ্র সাহায্য করবে রাজ্যকে। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলায় আসার আবেদন রাখেন। সেই আবেদন রাখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খবর আসে যে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ মোদি দিল্লি থেকে দমদম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনের পর বসিরহাটে বৈঠকে বসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠক শেষ করে প্রধানমন্ত্রী ফিরবেন কলকাতায়। এরপর কলকাতা থেকে রওনা দেবেন ওড়িশার পথে। ওড়িশাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই সেখানকার অবস্থাও পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী এমনটাই জানা গিয়েছে।