ভালোবাসার জন্য একজন প্রেমিক বা প্রেমিকা অনেক কঠিন কাজ করতে পারে। আর ভালোবাসার মানুষের যদি কোনো সমস্যাও থাকে, তাহলে এই খামতি চোখে পড়ে না। সত্যিকরে ভালোবাসা হলে হাজার প্রতিকূলতা সত্বেও জয়ী হওয়া যায়। এবার সেরকমই এক নির্দর্শনের সৃষ্টি করল রাহুল-অনামিকা। আর এরকম ভালোবাসার সাক্ষী রইল চন্ডীগড়।
২৯ বছরের রাহুল ২০১৬ সালে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে তাঁর হাঁটা-চলার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকেই হুইল চেয়ারেই বন্দি রাহুলের জীবন। সোমবার হুইল চেয়ারে বসা বিশেষভাবে সক্ষম এই রাহুলের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তরুণী অনামিকা। ২০০৮ থেকে এই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। সেই ছোটবেলা থেকেই তাদের বিয়ে করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েন রাহুল। দুর্ঘটনার পর একেবারে মনোবল ভেঙে যায় রাহুলের।
কিন্তু হাল ছাড়েননি অনামিকা। সেই সময় রাহুলের মনোবল বাড়ানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনামিকা কথা বলতেন। এরপর অনামিকা একদিন তাঁদের বাড়িতে এসে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অনামিকা বলেছেন যে রাহুলের মতো ভালো মানুষ পাওয়া যায় না। এটাই এটার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা। তিনি অনেকদিন আগেই বাবা-মাকে হারিয়েছেন। তাই এখন রাহুলের সঙ্গে বাকিদিন কাটিয়ে দিতে চান অনামিকা। সকলেই এই দম্পতির সুখী জীবনের কামনা করেছেন।