কঠিন পরিস্থিতির মাঝেই বইছে খুশির হাওয়া। প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা বাবরি ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই খালাস করল লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। বাবরি রায়ে উচ্ছ্বসিত প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী।
বাবরি মামলায় অভিযুক্ত ৩২ জনকে বেকসুর খালাস করেছে সিবিআই বিশেষ আদালত। বাবরি ধ্বংস মামলা থেকে মুক্ত বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমনোহর যোশি, উমা ভারতী-সহ ৩২ অভিযুক্ত। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত নয় বলেও এ দিন মন্তব্য করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। তিনি জানান, মসজিদ ভাঙায় অভিযুক্তদের কারও কোনও হাত ছিল না। উমন্মত্ত জনতাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। অভিযুক্তরা বরং মসজিদ ভাঙায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযুক্তদের ফাঁসানোর জন্য প্রমাণ বিকৃত করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন বিচারক।
তবে,এদিন সশরীরে আডবানি আসতে না পারলেও উপস্থিত ছিলেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে র মাধ্যমে। আদালতের রায় শুনে আডবানি বলেন,”জয় শ্রীরাম’ এই বলে এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আজ সবার খুশির দিন। বিজেপি ও আমাকে এই রায় আমাদের সন্দেহমুক্ত করল। এই রায় আমার কাছ আরও খুশির কারণ নভেম্বরে আদালতের আর একটি রায়ে রাম মন্দির তৈরির পথ খুলে গিয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের মতো আমিও রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দিকে আমিও তাকিয়ে রয়েছি। সিবিআই বিশেষ আদালত যে রায় দিয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়। সেই মামলায় ৪৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বর্তমানে জীবিত রয়েছেন ৩২ জন। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, বাবরি মামলায় এই ৩২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। ঠিক কী কী কারণে বেকসুর খালাসের রায় দিল আদালত? আদালত বলেছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস কোনও পূর্ব-পরিকল্পিত ঘটনা নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। সিবিআই যেসব অডিও বা ভিডিও দিয়েছে, তার সত্যতাও প্রমাণিত হয়নি।