কম বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়, তারপর সংসারের হাল ধরতে হয়, বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সে এসেও নিজের স্বপ্ন পূরন করলেন মহারাষ্ট্রের বারামতীর বাসিন্দা বেবি গুরাভ। এই বয়সে এসে পাশ করে ফেললো মাধ্যমিকের পরীক্ষা। নিজের ছেলের সঙ্গেই এবারের পরীক্ষায় বসেছিলেন বেবি গুরাভ। দশম শ্রেণীর পরিক্ষায় ছেলে সদানন্দ যেখানে পেয়েছে ৭৩.২০ শতাংশ নম্বর, সেখানে বেবি গুরাভ পেয়েছেন ৬৪.৪০ শতাংশ নম্বর। অর্থাৎ দেখতে গেলে ছেলেকে জোরদার টক্কর দিয়েছেন বেবি। সেই সঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
অনেক কম বয়সে বেবির বিয়ে হয় একটি আঞ্চলিক পত্রিকার সাংবাদিক প্রদীপ গুরাভের সঙ্গে। তারপর সংসারের হাল ধরতে গিয়ে সম্পূর্ন করতে পারেননি তার পড়াশোনা। তবে স্বামী এবং ছেলে বরাবরই তার পাশে ছিলো, সেই জন্য নতুন করে আবার পড়াশোনা শুরু করেন বেবি। বর্তমানে বেবি একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করে, তার ফাঁকেই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান। এছাড়াও বাড়িতে রান্না করা বা অন্যান্য সাংসারিক কাজ মিটিয়ে খাতা-বই নিয়ে বসে পড়তেন বেবি। অবশেষে এই বছর ছেলের সঙ্গেই দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দেন বেবি গুরাভ। সেই সঙ্গে ভালো রেজাল্টও করলেন তিনি।
এই সাফল্যের পর বেবি গুরাভ বলেন, ‘‘অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় আমি পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে উৎসাহ দেন যাতে ছেলের সঙ্গেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসি।’’ স্ত্রী এবং ছেলের এই সাফল্যে খুশি হয়েছেন প্রদীপ গুরাভ। প্রদীপ গুরাভ জানান, ‘‘আমার স্ত্রী এবং ছেলে কঠোর পরিশ্রম করে এত ভাল নম্বর পেয়েছে। আমি ওদের রেজাল্টে খুব খুশি এবং গর্বিত।’’ তবে বেবি এখনেই থামতে রাজি নন, বেবির ইচ্ছা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়া এবং ভাল ফল করা।