ইচ্ছে থাকলে কি না হয়? মানুষের সর্বশক্তির মূলে ইচ্ছাশক্তি। আমাদের চারপাশেই এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা মেধার ও ইচ্ছাশক্তির জোরের অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলছে।
বয়স মাত্র 13 বছর, কিছুদিন আগেই করোনার প্রকোপে হারিয়েছেন তার বাবাকে। এই ইন্দরে অবস্থিত কন্যা একঅসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। তিনি প্রথম যিনি দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দেওয়ার পরে একেবারে সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় উতরে গেছেন। দ্বাদশ শ্রেণীর কমার্স বিভাগের নম্বর পেয়েছে 62.8%।
মেয়েটির নাম তানিশকা। অন্যান্য বাচ্চাদের মত প্রথাগতভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধাপের পর ধাপ পেরিয়ে পড়াশোনা করেনি সে। একেবারে তিন বছর বয়সে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয় তাকে। তার বাবা মনে করতেন একজন বাচ্চার প্রথম শিক্ষক তার পরিবার। একটা বাচ্চা বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে বেশি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। তার পারিবারিক, সামাজিক, পুঁথিগত সমস্ত শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করবে। তার মা অনুভা চান্দ্রনও এমনটাই মনে করেন।
এই তানিশকা 2 রা জুলাই তার বাবাকে হারিয়েছে। তিনি মধ্যপ্রদেশের প্রথম ছাত্রী যে দশম শ্রেণীর পরে সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেছে। এই অবস্থাতেই ভালো নম্বর নিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে সে। তানিশকা স্বপ্ন সে একজন আইপিএস অফিসার হবে শুধু তাই নয় নাচেও পিএইচডি করতে চায় সে। আপাতত সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে তানিশকা।