বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ উত্তপ্ত পরিবেশ। সামনের বিধানসভা ভোট যত কাছে আসছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেন পরিণত হচ্ছে এক রণাঙ্গনে। এরই মাঝে গত রবিবার বিজেপির ব্রিগেড সভা এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। আর তারপর কেই পরিবেশ হয়েছে আরো গরম। উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর মুখ।
কোন সময় নকশাল বাম কংগ্রেস আবার কোন সময় তৃণমূল এর হয়ে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। একসময় তিনি ছিলেন তৃণমূল সরকারের মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ। তবে চিটফান্ড কাণ্ডের তার নাম জড়ালে তিনি সরে যান রাজনীতির ময়দান থেকে। আর এতদিন পর হঠাৎ বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক আগে হাতে তুলে নিলেন গেরুয়া শিবিরের পতাকা। আর সেটাই এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে সবথেকে আলোচ্য বিষয়।
যদি বিরোধী পক্ষ থেকে উঠে এসেছে মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় নাম। বলা হয়েছে তার ছেলের নামে কোন এক কেস রয়েছে আর ছেলেকে কে তার থেকে বাঁচাতেই বিজেপি তে যোগ দিয়েছেন মিঠুন।
এই বিষয় নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন শাসক দলের তৃতীয় বারের প্রার্থী চিরঞ্জিত, তিনি বলেছেন নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিজেপি যোগ দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন শুনছি ওর ছেলের নামে কেস রয়েছে অন্য নামেও সিবিআই মামলার ছিল সবমিলিয়ে হয়তো সেই কারণেই সুবিধা নিতে বিজেপি জয়েন করেছেন। এছাড়া এই পার্টিতে সম্মান হারিয়েছেন তাই এখানে ফিরে তো আর আসতে পারবেন না, সিপিআইএম তাকে খাতির পড়বে না তাই বাধ্য হয়ে নিজের সুবিধা বুঝে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
চক্রবর্তীর বেশ স্নেহের পাত্র শাসকদলের সংসদ দেব। আর সেই দেব মিঠুনের চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কে বললে বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়, কি কোন পার্টিকে সমর্থন করবে বা ভোট দেবে সেটা তার নৈতিক অধিকার। যা করেছে নিশ্চয়ই ভেবেই করেছেন।
তবে মিঠুনের লড়াকু মনোভাবকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন অনেকেই, শ্যামবর্ণ রোগা ছিপছিপে একটি ছেলে একসময় মুম্বাই মহানগরীতে গিয়ে হয়ে উঠেছিলেন এক নম্বর তারকা, তার সেই লড়াই কে অস্বীকার করতে পারবে না কেউই। অন্যদিকে মিঠুনের ফ্যান ফলোয়িং আলাদা পর্যায়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বলা না গেলেও নায়ক মিঠুনের অনুরাগীর অভাব নেই, আর ব্রিগেডে হঠাৎ করে মিঠুনের বিজেপিতে যোগ দেওয়া ঘুম কেরেছে বিরোধী দলগুলোর। আপাতত দেখার বিধানসভায় বিজেপির ক্ষেত্রে মিঠুন ম্যাজিক ঠিক কতটা কার্যকরী হয়।