আর কয়েকদিন পরেই মহালয়া (Mahalaya)। এর মধ্যে দিয়েই দেবিপক্ষের সূচনা। আর মহালয়ার ভোরে রেডিও চালিয়ে বীরেন্দ্র কৃষ্ণের কণ্ঠে চন্ডী পাঠ শুনলেই পুজোর আগমন জানান দেয়। পাশাপাশি দুরদর্শনের মহালয়া। হ্যাঁ, প্রায় ২৬ বছর আগে দুরদর্শনে শুরু হয়েছিল এক বিশেষ অনুষ্ঠান। আজও সেই অনুষ্ঠান অমলিন। নম্বই দশক থেকে দূরদর্শন বাংলায় মহিষাসুরমর্দিনীর আদলে মহালয়ার অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
১৯৮০ থেকে নৃত্যনাট্য রূপে, তারপর ৯০ এর দশকে নাটক রূপে সম্প্রচার হতে থাকে মহালয়ার (Mahalaya) এই বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রতি বছর ভোর সাড়ে পাঁচটায় মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানের নাট্যরূপ সম্প্রচার করা হয়। এ বছরও নাটক মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে ডিডি বাংলা থেকে। জানা যাচ্ছে, এ বছর ‘কাত্যায়নী দেবী দুর্গা’ নাটক সম্প্রচারিত হবে।
বাংলা দুরদর্শনে এ বছর মহালয়া (Mahalaya) ড. অরুময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে অনুষ্ঠিত হবে। এই নাটকের নির্দেশনা ও পরিচালনা করেছেন নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। চিত্রনাট্য লিখেছেন নাট্যকার হিরেন চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ বিষয় হলো, এবারে ডিডি বাংলায় দেবী দুর্গা রূপে দেখা যাবে মহুল মুখোপাধ্যায়কে। আর মহিষাসুর রূপে দেখা যাবে কৌশিক চক্রবর্তীকে।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের থেকে এবছরের ডিডি বাংলার মহালয়া (Mahalaya) অনুষ্ঠান সম্পূর্ন আলাদা ভাবে উপস্থাপিত হবে। ভিডিওগ্রাফির জন্য ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মুভমেন্ট করা হয়েছে। সঙ্গে ভিএফএক্স দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান। এ বছর স্তোত্রপাঠ করবেন অজয় ভট্টাচার্য এবং সঙ্গীত পরিচালনা করছেন কল্যাণ সেন বরাট। বেশির ভাগ নাচের দৃশ্য দেখা যাবে, তাই ভরটনট্টম শিল্পী মহুলকে দুর্গা হিসাবে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিষয় হলো, এবছর দেবী দুর্গার সিংহবাহিনী রূপ দেখানো হবে, তাই এবছর এই অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে দেবী কাত্যায়নী।