সবেমাত্র শুরু হয়েছে বাংলা নতুন বছর। আর নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই তীব্র গরমের দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ দেশে দাবদাহ চরম আকার ধারণ করতে পারে। আর তাই এখন থেকেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছেন আবহাওয়াবিদরা। কোনমতেই যেন রোদে বাড়ি থেকে বেরোনো না হয় সেই প্রসঙ্গে বারে বারে সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে।
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রার পারদ রেকর্ড তৈরি করেছে। আর এই তীব্র রোদের কারণে বারে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। কখনো ভেবে দেখেছেন কী একজন মানুষ সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে? কীভাবে তীব্র গরমে শরীরকে রাখা যায় ঠান্ডা? সেই তথ্য রইল আজকের প্রতিবেদনে। বিপদে পড়ার আগেই জেনে নিন উত্তরটা।
তাপমাত্রা যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে কিন্তু এর প্রভাব আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যেই ক্ষতিকর। এমন অনেকে রয়েছেন যারা প্রচন্ড গরম সহ্য করতে পারেন। অনেকেই আবার সামান্য গরমে হাঁসফাঁস করেন। গ্রীষ্মকালে দেশের বহু জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত কোন তাপমাত্রা মানুষের জন্য বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খুব সহজেই বেঁচে থাকতে পারেন মানুষ।
উষ্ণ রক্তের স্তন্যপায়ী প্রাণী মানুষ। এ কথা হয়তো অনেকেই জানেন। হোমিওস্ট্যাটিস নামক এক বিশেষ প্রক্রিয়া দ্বারা বাইরের তাপমাত্রা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন মানুষ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্ক হাইপোথ্যালামাসকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের তাপমাত্রা বেঁচে থাকা সীমার মধ্যে বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদিও বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে চঞ্চল্যকর তথ্য। ২০৫০ সালের মধ্যে নাকি ব্রিটেনে তাপমাত্রার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ২৫৭ শতাংশ।
গবেষকরা বলছেন, ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা খুব সহজেই সহ্য করতে পারেন মানুষ। তবে তাপমাত্রা যখনই ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায় তখনই কিন্তু সমস্যার মুখোমুখি হন আমজনতা। আর তাপমাত্রা যদি ছুঁয়ে ফেলে ৫০ ডিগ্রি তাহলে তা মানুষের পক্ষে সহ্য করা একেবারেই মুশকিল। এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা জীবনে ঝুঁকি তৈরি করে।
বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে ভারতে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। চিকিৎসকেরা বলছেন, ৫০ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রায় যদি কোনো মানুষ থাকেন তাহলে পেশি সম্পূর্ণভাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া করতে শুরু করে আর এতেই কিন্তু মৃত্যু হতে পারে মানুষের।