OMG সিনেমা দেখেছেন নিশ্চই? অক্ষয় কুমার ও পঙ্কজ ত্রিপাঠির এই ছবিতে সেক্স এডুকেশনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আসলে আমাদের সমাজে এখনো কিশোর কিশোরীরা যৌনতা সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকায় ভুল পথে চালিত হতে দেখা যায়। তাই সেক্স এডুসেশন সম্পর্কে সচেতন হওয়াটা জরুরি। আর এ বিষয়েই এবার পর্যবেক্ষণ করলো কলকাতা হাইকোর্ট (Highcourt historic observation)।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এক ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ করলো (Highcourt historic observation)। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কিশোর কিশোরীদের যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ ২ মিনিটের সুখটাই সব নয়। গতকাল এক ধর্ষণ মামলার রায় শোনানোর সময় এমনই বিষয় পর্যবেক্ষণ করলো কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৯ সালে বাড়ুইপুরের ধর্ষণ কাণ্ডের রায় দিয়ে গিয়ে চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ (Highcourt historic observation) জানিয়েছে, “একজন কিশোরের কর্তব্য কিশোরীদের সম্মান করা। কিশোরীদের মন, তাঁদের মূল্যবোধ, মর্যাদা, গোপনীয়তা, শারীরিক ইচ্ছাকে বুঝে চলা কিশোরদের অবশ্য কর্তব্য। ”
এই মামলায় এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছিল এক নাবালকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবার এই নাবালকের বিরুদ্ধে মামলা এনেছিল। যদিও পরে নির্যাতিতা নিজে এই মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানায়। সেই মামলার রায়ে ওই নাবালককে মুক্তি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আদালত যৌন নিয়ন্ত্রণের উপর গাইড লাইন করে দেয়। আদালত জানায়, অল্প বয়সে যৌন লিপ্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে। আর এর কারণ যৌন শিক্ষার অভাব। সমস্ত কিশোর কিশোরীদের যৌন শিক্ষা দেওয়া দরকার বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Highcourt historic observation)।