নিষিদ্ধ বোরখা, বন্ধ হতে পারে বন্ধ হতে পারে ১ হাজার মাদ্রাসা, ক্যাবিনেটে প্রস্তাব ভারতের প্রতিবেশী দেশের
শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হতে চলেছে বোরখা। তারসাথে শ্রীলঙ্কাতে বন্ধ হতে চলেছে একাধিক মাদ্রাসা। দেশের সুরক্ষার খাতিরে এমন পদক্ষেপ নিল শ্রীলঙ্কা সরকার। জাতীয় শিক্ষানীতি তোয়াক্কা না করেই মাদ্রাসাগুলি বেআইনি ভাবে চলছিল এমনটাই দাবি করছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
শ্রীলঙ্কায় বোরখা পরা নিয়ে দেশের জন সুরক্ষা মন্ত্রী শরৎ বীরশেখর বলেন, হালে শ্রীলঙ্কায় বোরখার প্রচলন দেখা যাচ্ছে, আগে শ্রীলঙ্কায় মেয়েরা পুরোপুরি নিজেদের মুখ ডাকতো না। আসলে বোরখা হল মৌলবাদীদের লক্ষণ, যা তারা কোনদিনও প্রশ্রয় দেবে না। শনিবার শ্রীলঙ্কার জনসুরক্ষা মন্ত্রী শরৎ বীরশেখর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবগুলি অনুমোদনের জন্য ক্যাবিনেটে পাঠিয়েছেন তিনি।
এর আগেও শ্রীলঙ্কায় ইস্টারের রবিবার একাধিক গির্জা এবং হোটেলে জঙ্গি হামলার পর সে দেশের সরকারের তরফ থেকে বোরখায় সাময়িক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে ছিল ২০১৯ সালে। শ্রীলঙ্কায় সেই ঘটনায় মারা গিয়েছিল আড়াইশো ওপরে নিরীহ মানুষ। এবং তারপরে নভেম্বরে নির্বাচনের পর গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কা থেকে মৌলবাদ নিপাত করার সিদ্ধান্ত নেন।
গোতাবায়া রাজাপক্ষের উপর এর আগেও উঠেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব করার অভিযোগ। গতবছর করোনা মহামারীর সময় মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত মৃত ব্যক্তিদের দেহ তাদের রীতি অনুযায়ী সমাধিস্থ না করতে দিয়ে তা দাহ করার অভিযোগ ওঠে শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে, আমেরিকা-সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির রোষের মুখে পড়ে পিছু হটেন রাজাপক্ষ, তুলে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। তাই আরো একবার প্রশ্নের মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার। জাতীয় সুরক্ষার অজুহাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারে শ্রীলঙ্কা সরকার আবারো হস্তক্ষেপ করছেন কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।