টেক নিউজনিউজ

Cyber crime: ভুয়ো লিঙ্কে ক্লিক করলেই উধাও টাকা! কীভাবে চিনবেন কোনটা আসল, কোনটা ভুয়ো?

প্রতারণার ফাঁদ থেকে বাঁচুন। ভুয়ো মেসেজ চিহ্নিত করুন এই চার উপায়ে।

Advertisement
Advertisement

একটি ছোট্ট লিঙ্ক, ক্লিক করলেই উধাও ব্যাংকের টাকা। আজকাল সাইবার ক্রাইমের (Cyber crime) এমন ঘটনা বহু ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আসলে মোবাইল ফোনে প্রতারকরা লিঙ্ক পাঠাচ্ছে, আর লিঙ্কে ক্লিক করলেই ঘটছে বিপত্তি। এমনকি বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপে মেসেজের মাধ্যমেও পাতা হচ্ছে ফাঁদ। তাই ফোনে কোনো অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ এলে সাবধান থাকবেন। তবে সব মেসেজেই যে ফাঁদ তেমন কিন্তু নয়। তাহলে বুঝবেন কীভাবে কোনটা আসল আর কোনটা নকল? জেনে রাখুন এই চারটি উপায়, যা দিয়ে বুঝতে পারবেন কোনটা আসল মেসেজ আর কোনটা ভুয়ো।

১) ফোনে যে সমস্ত লিঙ্ক আসে, তা যদি কোনো ওয়েবসাইট হয়ে থাকে, তাহলে সেটি ভালো করে যাচাই করতে হবে। ওয়েবসাইট যাচাই করার সবচেয়ে সহজ উপায়, এর ‘ডোমেইন নেম’ ভালো করে দেখা। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের আলাদা ডোমেইন নেম থাকে। তাই কোনো ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম যদি অন্য ওয়েবসাইটের মতো হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি ফেক। এর সাথে ওয়েবসাইটে যদি ফোন নম্বর বা কাস্টমার কেয়ার নম্বর দেওয়া না থাকে সে ক্ষেত্রেও এটি ফেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ওয়েবসাইটে ইউআরএল ঠিক আছে কি না যাচাই করে নেবেন। যদি ঠিক না থাকে তবে সেটি প্রতারণার ফাঁদ (Cyber crime)।

২) অনেক সময় ফরোয়ার্ড মেসেজের মাধ্যমেও প্রতারণার জাল (Cyber crime) বেছানো থাকে। ফরোয়ার্ড করা মেসেজ জাল নাকি সঠিক তা বোঝা খুব কঠিন। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো ম্যাসেজিং অ্যাপে যদি ফরোয়ার্ড মেসেজ আসে, তবে দেখে নিতে হবে ফরোয়ার্ড চিহ্ন মেসেজটিতে রয়েছে কি না। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়ো মেসেজ একাধিকবার পাঠানো হয়ে থাকে।

৩) ফরোয়ার্ড মেসেজ যিনি পাঠান তিনি কিন্তু মেসেজ লেখেন না। তিনি অন্য কোথা থেকে মেসেজ পেয়ে ফরোয়ার্ড করে। এক্ষেত্রে যদি চেনা পরিচিত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ফরোয়ার্ড মেসেজ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে সেই মেসেজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব। ওই ব্যক্তি কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানা যেতে পারে। কিন্তু যদি অচেনা কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ফরোয়ার্ড মেসেজ আসে, তাহলে কিন্তু তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। তাই অচেনা কেউ মেসেজ ফরোয়ার্ড করলে সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করাই ভালো।

৪) ফেক ম্যাসেজ চেনার আরেকটি উপায় হল এর বাক্য গঠন ও বানান। কেননা বেশিরভাগ সময় ফেক মেসেজের বানান ও বাক্য গঠন ভুল হয়ে থাকে। একইসঙ্গে এই মেসেজে থাকে হাইপার লিংক। যে লিংকে একটি ক্লিক করলেই খুলে যাবে নতুন একটি পেজ এবং সেই পেজে গিয়ে নাম মোবাইল নম্বর, ব্যাংকের পাসবুকের নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, পাসপোর্ট ইত্যাদি বিবরণ পূরণ করার জন্য বলা হবে। এই ধরনের লিংকে গিয়ে কখনোই ব্যক্তিগত বিবরণ পূরণ করবেন না। এগুলি প্রতারণার ফাঁদ (Cyber crime)।

Related Articles