দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে। গত ১ লা জুন থেকেই মোটামুটি সকল কিছুর ওপর লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। আর তারপরেই দেশে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটতে থাকে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী মহারাষ্ট্র সবার প্রথমে রয়েছে। তারপরেই রয়েছে গুজরাট ও তামিলনাড়ু। এদিকে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও খুব একটা পিছিয়ে নেয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৭ জন। যা এখনো পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক। গত ২৪ ঘন্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছে আরও ১৪৪ জন।
সব মিলে আমাদের রাজ্যে কোভিড – ১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৪ এছাড়াও মোট আক্রান্ত হয়েছেন জন। এছাড়াও এখনো পর্যন্ত সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪,০২৫। সুস্থ হয়েছেন ২,৯১২ জন। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ৯,৬৮৭ জনের নমুন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। লকডাউন খোলার পর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই এতো বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ অধিকর্তা জানিয়েছেন, “অন্যান্য রাজ্য থেকে মানুষজন যখনই বাংলায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন তখন থেকেই ক্রমশ এই সংখ্যা বাড়ছে। তাছাড়া এটাও ঠিক যে, এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের করোনা টেস্ট হচ্ছে। হয়তো সেই কারণেই নতুন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলছে”।
এদিকে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী কলকাতার। এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১০১ জন। তারপরের স্থান উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন। এরপরে রয়েছে হাওড়া, সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ জন। এরপর আক্রান্তের সংখ্যা বিচার অনুযায়ী, হুগলিতে- ৪৪ জন, মালদহে – ৩৪ জন, উত্তর দিনাজপুরে -২৯ জন, দার্জিলিংয়ে – ১৭ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে – ১৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে – ১২ জন, বাঁকুড়াতে – ৯ জন, পূর্ব বর্ধমানে- ৯ জন , নদিয়াতে- ৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে- ৬ জন, বীরভূমে- ৬ জন, মুর্শিদাবাদে – ৪ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে- ৩ জন, কালিম্পংয়ে – ২ জন, পশ্চিম বর্ধমানে – ১ জন ও কোচবিহারে ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত লক্ষ হাজার জন। এই খবর প্রকাশ হবার পর থেকেই সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বজুড়ে ভারতের স্থান ষষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। ইতালিকে পেছনে ফেলে ভারত ৭ থেকে ৬ এ ওঠে এসেছে।