নদীয়া :-দুঃখের খবর ঠিকই, তবু কিছুটা তো স্বস্তির। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। উপসর্গ থাকলে তো বটেই, কিন্তু যাদের উপসর্গ নেই, তাদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত কী না, সেটা জানাটা ভীষণ জরুরী। সেক্ষেত্রে লালারস সংগ্রহ করার পর কলকাতার নাইসেড থেকে রিপোর্ট আসতে আসতে লেগে যায় অনেকটা দেরি। কারণ, সংগ্রহ করা লালারস পৌঁছে দিতে হবে কলকাতার নাইসেডে যেতে লাগে বেশ কিছুটা সময়। তার ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ,বিভিন্ন জেলার পরীক্ষা করতে করতে ভীষণ চাপে নাইসেড। রিপোর্ট আসার আগেই হয়ে যায় মৃত্যুও।
তবে এবার কিছুটা স্বস্তি, অন্তত নদীয়াবাসীর ক্ষেত্রে তো বটেই কারণ, এবার করোনা পরীক্ষা হবে নদীয়ার জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল অর্থাৎ জে এন এমে। করোনা পরীক্ষা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে আইসিএমআরের অনুমতিপত্র, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মেশিন দুটি আই টি পি সি আর যোগান দিয়ে সহযোগিতা করেছেন নদীয়া জেলার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শংকর কুমার ঘোষ এবং আইজার কলকাতার ডিরেক্টর সৌরভ পাল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হয়েছে কোভিড টেস্টের ল্যাব। বাকি মেশিনও এসে পৌঁছে গিয়েছে।
আপাতত জে এন এমের আইসোলেশনে ভর্তি থাকা ত্রিশ জন রোগীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা, রিপোর্ট পাওয়া যাবে আজ বুধবার। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলে যাচ্ছে রিপোর্ট, যত তাড়াতাড়ি রিপোর্ট পেলে শুরু হয়ে যেতে পারে চিকিৎসা। তবে প্রশ্ন একটাই, শুধুই কি নদীয়া জেলার করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষায় করা হবে?
এ বিষয়ে জে এন এম হাসপাতালের সুপার ডা: অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ সেটা স্বাস্থ্য দপ্তর যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্তই আমরা মেনে নেব। এত তাড়াতাড়ি ল্যাব প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে জেলাশাসক বিভু গোয়েল সহ একাধিক মানুষের সহযোগিতা রয়েছে।’ তাড়াতাড়ি রিপোর্ট মিলবে, শুরু হয়ে যাবে চিকিৎসা, মানুষ সুস্থ হয়ে উঠবেন, এটাই তো সবাই চান। এবং অবশ্য সেটাই চান, কোভিড টেস্টের কাজে যুক্ত পরীক্ষকরা। ট্রায়াল টেস্টে সফলতা মিললেই দিনে প্রায় দুশো জনের মত করোনা সন্দেহভাজনের পরীক্ষা করা সম্ভব হবে, সফলতা মিলবেই, এই গ্যারান্টি দিচ্ছেন ল্যাবের পরীক্ষকরা।