টেক নিউজনিউজ

Aadhaar Biometric: আধারের বায়োমেট্রিক জাল করে উধাও হচ্ছে টাকা! আধার লকের পরামর্শ

আঙ্গুলের ছাপ জাল করে প্রতারকরা ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে

Advertisement
Advertisement

প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকদের জন্য আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। যে কোনো নথির সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক থেকে শুরু করে ব্যাংকের লেনদেন সব ক্ষেত্রেই আধার কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে ব্যাংকের সঙ্গে লিংক রয়েছে আধার কার্ডের। এর ফলে যে কোনো ব্যক্তি তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই টাকা তুলতে পারে। সমস্যা এখানেই। কেননা রাজ্যের বেশ কিছুদিন ধরে বায়োমেট্রিক (Aadhaar Biometric) তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। আঙ্গুলের ছাপ জাল করে প্রতারকরা ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সম্প্রতি এমনই এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার স্বীকার হয়েছেন মেদিনীপুরের প্রবীণ মহিলা ও তাঁর ছেলে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রবীণ মহিলা ও তাঁর ছেলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পুরানো গ্রাহক। তাঁদের একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গত সোমবার তাঁরা নেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য দেখতে গিয়ে অবাক হয়ে যায়। ওই ব্যক্তি দেখেন, তাদের ব্যাংকে মাত্র কয়েকশো টাকা পড়ে রয়েছে। আর গত ১লা সেপ্টেম্বর এইপিএস পদ্ধতিতে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০,০০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

প্রবীণ মহিলার ছেলে দাবি করেছেন, এই কয়েকদিন এইপিএস পদ্ধতি ব্যবহার করে তিনি টাকা তোলেননি। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাত্র একবার হাতের ছাপ দিয়েছিলেন। এরপর রেশন তোলার জন্যই আঙুলের ছাপ (Aadhaar Biometric) দিয়ে থাকেন তিনি। সেভাবে বাড়ি থেকেও বের হন না ওই মহিলা। আর কখনোই তিনি এইপিএস পরিষেবা থেকে টাকা তোলেনি। তাহলে কিভাবে এইপিএস পদ্ধতি ব্যবহার করে ১০,০০০ টাকা তোলা হলো, তার উত্তর অধরা।

সম্প্রতি আধার বায়োমেট্রিক (Aadhaar Biometric) তথ্য জাল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা এর স্বীকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আধার কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের থেকে কোনো রূপ প্রতিক্রিয়া মিলছে না। তাই এ অবস্থায় কি করণীয়, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। বলে রাখি, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে আধার বায়োমেট্রিক লক করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে
এনপিসিআই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর্থিক পরিষেবা সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন এইপিএস সিস্টেম চালু করেছিল। তবে এবার এই সিস্টেমের দিকেই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Related Articles