অফবিটনিউজ

Antilia: “অ্যান্টিলিয়া”-য় কাজ পেতে দিতে হয় কঠিন পরীক্ষা! কর্মচারীদের বেতন কত দেন ভারতের ধনকুবের?

ভারতের প্রাসাদসম বাড়ির কর্মচারীরা ঠিক কত বেতন পান এবং তাদের জীবনযাত্রাই বা কেমন জেনে নিন

Advertisement
Advertisement

ভারতের তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। কারণ ভারতের এই ধনকুবের যে খুব সাধারণভাবে জীবন কাটাবেন না এটাই স্বাভাবিক। বাড়ির ভেতরে তার জীবন যাত্রা ঠিক কেমন তা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা না গেলেও তার জীবনের রাজকীয় বিলাসবহুলতার ছাপ দেখা যায় মুম্বাইতে অবস্থিত তাঁর বাড়ি নাম হল “অ্যান্টিলিয়া”-য় (Antilia)। শুধু বাড়িটিই নয়, রাজপ্রাসাদসম এই বাড়ির সামনে অবস্থিত তাঁর “সেভেন স্টার” হোটেলটিও তার সৌখিনতা এবং তার রাজকীয় জীবনযাপনের চিহ্ন বহন করে।স্বাভাবিকভাবেই এই সুন্দর ও বিশাল বাড়ি এবং হোটেলটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বহু কর্মচারী নিযুক্ত আছেন। জানা গেছে ২৪ ঘণ্টাই তার বাড়ি এবং হোটেল দেখাশোনার জন্য লক্ষাধিক টাকা বেতনপ্রাপ্ত ৬০০ জন কর্মচারীর নিযুক্ত থাকেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন ইচ্ছে করলেই যে কেউ মুকেশ ও নীতা আম্বানির স্বপ্নের রাজপ্রাসাদে কাজের সুযোগ পান না। তাদের বাড়িতে চাকরি করতে গেলে দিতে হয় কঠিন সব পরীক্ষা। সেই সব পরীক্ষায় ভালো ভাবে উত্তীর্ণও হলে তবেই ওই বাড়িতে কাজ করার সুযোগ মেলে। জানা গেছে মুকেশ আম্বানির বাড়িতে চাকরি পেতে গেলে প্রার্থীদের প্রথমে একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। এরপর তাদের লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। সাধারণ জ্ঞান, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্নে পরীক্ষাও দিতে হয় তাদের। এই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পরবর্তী পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত হন এবং কাজের সুযোগ পান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুম্বাইয়ের সবথেকে বিলাসবহুল অঞ্চলে অবস্থিত মুকেশ আম্বানির বাসভবন “অ্যান্টিলিয়া” (Antilia)। ২৭ টি তল যুক্ত এই অ্যান্টিলিয়া প্রায় ৫৭০ ফুট উঁচু। কি নেই এই বাড়ির মধ্যে? হেলিপ্যাড , স্পা, থিয়েটার হল, জিম, টেরেস বাগান, মন্দির সবই অবস্থিত এই বাড়ির অভ্যন্তরে। এই বাড়ির একটি এলাকা তৈরি করা হয়েছে দেহরক্ষী, নিরাপত্তা রক্ষী এবং অন্যান্য কর্মচারীরা বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। অ্যান্টিলিয়ার (Antilia) ষষ্ঠ তলায় আবার পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে । সেখানে প্রায় ১৭০ টি ক্ষেত্র রয়েছে। এই সব মিলিয়ে অ্যান্টিলিয়াকে শুধু বসবাসযোগ্য বাড়ি নয়, বরং রাজপ্রাসাদ বলাই ভালো।

মুকেশ আম্বানির এই বাড়িতে প্রায় শতাধিক গাড়ি আছে বলে জানা যায়। প্রতিটি গাড়ির জন্য আলাদা আলাদা চালকও আছেন। তবে, আম্বানি পরিবারের গাড়ির চালক হওয়াও অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সেখানেও দিতে হয় নানা পরীক্ষা। প্রথমে বিভিন্ন কোম্পানিকে ড্রাইভারের জন্য চুক্তি দেওয়া হয়। তারপর একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে গাড়ির ড্রাইভার নির্বাচন করেন আম্বানির। মুকেশ আম্বানির ড্রাইভার প্রতি মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা বেতন পান। এখন থেকেই আন্দাজ করে নিতে অসুবিধা হয়না যে ওই বাড়িতে কাজ করা বাকি কর্মচারীদের বেতন কেমন হতে পারে। তাদের জীবনযাপনও যে খুব সাদামাটা হবে না সেটাও সহজেই আন্দাজ করে নেওয়া যায়।

Related Articles