নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভার ‘তপশিলি সংলাপ’-র প্রচারাভিযান শুরু, গ্রামে গ্রামে চলছে প্রচার

বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বাসভবন তামাচিকাপাড়া থেকে গতকাল সকাল দশটায় যাত্রা করে শান্তিপুর ব্লকের বাথনা, কদমপুর, মানিকডিহি পর্যন্ত।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- বিধায়কের হাতে তৃণমূলের তেরঙ্গা সিগন্যাল পতাকা। হাওয়ার দোলাতেই ছুটলো গাড়ি গ্রামে গ্রামে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় আঁধার থেকে আলোয় আনার “তপশিলি সংলাপ ” প্রচারাভিযান ছুটলো। বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বাসভবন তামাচিকাপাড়া থেকে গতকাল সকাল দশটায় যাত্রা করে শান্তিপুর ব্লকের বাথনা, কদমপুর, মানিকডিহি পর্যন্ত।

তারপর পথেই মধ্যাহ্নভোজ। অপরাহ্ণে আড়বলদা, শ্যামনগর পুনরায় বিধায়কের বাড়ি। এভাবেই প্রশান্ত কিশোর টিমের শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আইপ্যাকের এ আরএম সাহেবের তত্ত্বাবধানে, এসসি লিডার সুনীল বিশ্বাস, এসসি পি. ও .সি. শ্যামল মাহাতো এবং জেলা পরিষদ সদস্য নিমাই বিশ্বাস, সারাদিন ঘুরে বেড়ালেন তপশিলি জাতি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে। পরিবারের সকলের শংসাপত্র আছে কিনা।

বাড়ির খুদে সদস্যরা পড়াশোনা করছে কিনা, তারা ছাত্র বৃত্তি পায় কিনা, পঞ্চায়েত মেম্বারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বিডিও অফিস থেকে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধার কথা জানেন কিনা? এ ধরনের নানা তথ্য লিপিবদ্ধ করে কিছুটা তাৎক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে এবং বাকিটা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপর দায়িত্ব ভার ন্যাস্ত করলেন প্রতিনিধি দল। আগামীতে যে কোন সমস্যায় বিভাগীয় ফোন নাম্বার সেভ করে দিলেন মোবাইলে।

আগত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৫১ টি প্রচার গাড়ি মাধ্যমে কুড়ি দিন ধরে ১০০০০ তপশিলি জাতি ও উপজাতির বাস স্থানে গিয়ে তাদের বর্তমান পরিস্থিতির যাবতীয় খোঁজখবর লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের সাথে যোগাযোগ করা তাদের উদ্দেশ্য। এর জন্যই শান্তিপুর বিধানসভায় তাদের আগমন।
আজ সকাল আটটায় গাড়ি বের হওয়ার পর এসি লিডার রেবতী প্রামানিক, উজ্জল সরকার ,কৃষ্ণ স্যান্ডেল, মালিপোতা, বাগদেবীপুর, হরিপুর সরদারপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে চলছে প্রচার । এভাবেই শান্তিপুরে প্রচার চলবে মোট চার দিন।

Related Articles