দেশের প্রায় সব জায়গা থেকেই বিদায় নিয়েছে বর্ষা। আর এবার আগমনের পালা শীতের। আবহবিদরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে এইবছর জাঁকিয়ে শীত পড়বে। আর সেই পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে। জাঁকিয়ে শীত পড়তে শুরু করছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে। যা গত ৫৮ বছরে হয়নি, তা এবার হতে চলেছে।
আজ সকালে কুয়াশার চাদরে ঢেকেছিল রাজধানী শহর। দিল্লিতে অক্টোবরের শেষ থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে তাপমাত্রা। এই সময় এতটা ঠান্ডা পরে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দিল্লিতে নভেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রা ১৭.২ ডিগ্রীতে পৌঁছে গিয়েছে। আর ফাঁকা, নির্জন জায়গাতে তাপমাত্রা আরও অনেক কমে গিয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রীর নীচে নেমেছে।
দিল্লির পাশাপাশি তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমেছে লুধিয়ানা, পাঞ্জাব, পুনে ও দেরাদুনে। সেখানে তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রীর কাছাকাছি আছে। আর জম্মু-কাশ্মীর, শ্রীনগরে তাপমাত্রা শূন্যতে পৌঁছেছে। বর্তমানের এই পরিস্থিতিকে লা নিনা অবস্থা বলছে আবহাওয়া দফতর। এরফলে আরও বেশি করে ঠান্ডা পড়বে। আর এই শহরগুলি এত ঠান্ডা পড়ছে বলে ইতিমধ্যেই সমস্ত শীতের পোশাক নামাতে হয়েছে মানুষজনদের। নাহলে এই শীতে টিকে থাকা মুশকিল।
যদিও বাংলাতে এখনও সেভাবে শীত পড়েনি। যদিও রাতের দিকে এবং ভোরবেলাতে হালকা চাদর মুড়ি দিয়ে শুতে হচ্ছে। তবে দিনের বেলাতে তাপমাত্রা এখনও ওতটা নিচে নামেনি। তবে আগামী দুইদিনের মধ্যে তাপমাত্রার পারদ নামবে। আজ সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৫৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল বৃষ্টি হয়নি।