বলিউড হার্টথ্রব সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই শিরোনামে রিয়া চক্রবর্তী। তদন্তে নেমে সুশান্ত মৃত্যুর ঘটনায় ড্রাগ বা নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের গন্ধ পায় ইডি। এরই মাঝে শুক্রবার মাদক কারবারীদের যোগ খতিয়ে দেখতে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে তুলে নিয়ে যায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা। এবার জেরার মুখে মুখ খুলল রিয়ার ভাই সৌভিক।
NCB-সূত্রে খবর,নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী স্বীকার করেছে রিয়ার নির্দেশেই ড্রাগ আনা হত এ কথা। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের বাড়িতে রিয়ার নির্দেশেই আনা হত মাদক। আর সেই ড্রাগ কেনা হত স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমেই। একাধিকবার রিয়ার নির্দেশে আনা হয়েছে ড্রাগ স্বীকার করেছে সৌভিক।
উল্লেখ্য, এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। এক মেসেজে ,’ ডোবি’ ‘ব্ল্যাকবেরি কুশ’ প্রভৃতি জিনিস নিয়ে কথা বলেন রিয়া ও শৌভিক। ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। অন্যদিকে, এই মামলায় ইতিমধ্যেই বসিত, ভিলাত্রা, ফৈয়াজ ও কাইজান নামে ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে NCB। এমনকি তাঁরাও জেরায় সৌভিকের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে খবর।
অন্যদিকে, এদিন সকালে সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। স্যামুয়েলের বাড়ি তল্লাশির পরই এনসিবির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।