পায়েল গাঙ্গুলি: ফের চিনের দিক থেকে মুখ ফেরালো ভারত। ভারত-চিন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জাওয়ান শহিদ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ‘আত্মনির্ভর ভারত’-র সঙ্কল্প নিয়েছে দেশ। এরই মাঝে বেশ কয়েকটি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। আর এবার রঙিন টিভি আমদানি করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ চাপাল ভারত।
ভারত ফের কোপ বসাল চিনা বাণিজ্যে। চিনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে ভারত। ভারতে তরফে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রঙিন টিভি রফতানিকারী সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড’-এর থেকে আলাদাভাবে অনুমোদন পেতে হবে। বিধিনিষেধের তালিকায় আছে ৩৬ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার স্ক্রিন বিশিষ্ট টিভি সেট এবং ৬৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের স্ক্রিন বিশিষ্ট লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে (এলসিডি) টিভি সেট। এর পাশাপাশি চিনা সংস্থার সঙ্গে রেল ও রোড টেন্ডারও বাতিল করে দিয়েছে ভারত।
এই প্রসঙ্গে প্যানাসনিক ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মণীশ শর্মা জানান, ‘দেশের মধ্যে যে টিভির বিভিন্ন সামগ্রী যুক্ত করা হয় তার উপর অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে উচ্চমানের টিভি সেট পাবেন ভারতীয় গ্রাহকরা। এমনিতেই আমাদের দেশে প্রথম সারির উৎপাদন এবং অ্যাসেম্বলিং কারখানা রয়েছে’।পাল্টা দিতে ছাড়েনি চিনও। টুইট করে চিনা রাষ্ট্রদূত লেখেন, ‘ ভারত-চিনের একে অপরের উপর নির্ভরশীল। দুই দেশের অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক। দুই দেশ যে একে অপরকে ছাড়া চলতে পারবে না। চিন মোটেই ভারতের জন্য কৌশলগত দিক থেকে কোনও হুমকির কারণ নয়। তাই জোর করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে তাতে হার হবে’।
উল্লেখ্য,৭৮১ মিলিয়ন ডলারের কালার টিভি চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানি করেছে ভারত। যা জানা গেছে এর মধ্যে বেশিরভাগই এসেছে ভিয়েতনাম ও চিন থেকে। মূলত চিন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড এবং জার্মানি থেকে কালার টিভি আমদানি করে ভারত। কিন্তু এবার সে সব বন্ধ করতে চলেছে ভারত।