দেশনিউজ

দেখুন ভিডিও- শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে চাপিয়ে ৩ কিলোমিটার হাঁটতে হল গৃহবধূকে

Advertisement
Advertisement

ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী রইলো সোশ্যাল মিডিয়া। এক আদিবাসী মহিলা হলেন নির্যাতনের শিকার। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গুণা জেলার। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করার ‘অপরাধে’ শ্বশুরবাড়ির লোককে কাঁধে চাপিয়ে ৩ কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করা হল ওই মহিলাকে। এই বর্বর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা অপর এক ব্যক্তিকে কাঁধে চাপিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন। তাঁর পিছন পিছন যাচ্ছেন লাঠি, ব্যাট হাতে কয়েকজন যুবক আর সেই সাথে কয়েকজন বাইক আরোহী। ভিডিওতে মহিলাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে দেখা যাচ্ছে ওই যুবকদের।

নির্যাতিতা জানাচ্ছেন, স্বামী-স্ত্রীর মিলিত সম্মতিতেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁদের। এরপর তিনি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তবুও গত সপ্তাহে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের লোক আচমকাই তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনা করে। প্রসঙ্গত, গুনা জেলার সাগাই এবং বাঁশখেদি গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেই সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবর, মধ্যপ্রদেশে মহিলাদের বিশেষত আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে এরকম মধ্যযুগীয় বর্বরতা নতুন বা এই প্রথম নয়। বিগত বছরগুলিতেও এই ধরনের নানান ঘটনা ঘটেছিল। সেই সব ভিডিও ভাইরাল এবং যথেষ্ট সমালোচিত হলেও মানসিকতার পরিবর্তন যে হয়নি তার প্রমাণ এদিনের ঘটনা। এর আগে ২০২০-র জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলায় স্বামীকে কাঁধে নিয়ে এ ভাবে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল এক মহিলাকে। মহিলাকে সেই অবস্থাতেই লাঠি দিয়ে আঘাত করছিলেন গ্রামবাসীরা। তারও আগে ২০১৯-এর এপ্রিলে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়ার ‘অপরাধে’ স্বামীকে কাঁধে নিয়ে ঘোরার নিদান দেওয়া হয় এক মহিলাকে। ফলে সাধারণ মহিলারা এদেশে কেমন অবস্থায় আছেন, তা পরিস্কার।

Related Articles