মা গঙ্গার শান্ত ভাবে বয়ে চলা রূপটি সকলে দেখে এসেছি কিন্তু সেই শান্ত গঙ্গার আগ্রাসী রূপ কিরকম হতে পারে তার কি কোনোরকম ধারনা আছে! যেভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন বেড়ে চলেছে তাতে মেরু অঞ্চলের বরফ গলন সম্পর্কে হামেশাই খবর শুনতে পাই। হিমালয়ও যে একই বিপদের দোড়গোড়ায় রয়েছে সে বিষয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিজ্ঞানী ইয়ুন কিয়ান ও ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ম্যাড্রাস এর চন্দন সারঙ্গি হিমালয় ও তার বরফ গলে যাওয়া সংক্রান্ত এক গবেষনার তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে উড়ে আসা ধুলো হিমালয় আর সুউচ্চ শৃঙ্গ গুলির উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। যার পরিনামে হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি।
বিজ্ঞানীদের মতে ধুলো সূর্যের উত্তাপ বেশি পরিমাণে শোষণ করতে পারে। এর ফলে সূর্যের তাপ শোষণ করে উত্তপ্ত হয়ে থাকা ধুলোর রাশি যখন হিমালয়ের বরফজমা শৃঙ্গগুলির সাথে ঘষা খাচ্ছে তাতে বেশি পরিমানে বরফ গলে যাচ্ছে।
আর এতেই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। হিমালয়ের বরফ এভাবে গলতে থাকলে পাশাপাশি ভারতের অনেক নদনদীর জলরাশি বাড়তে থাকবে। যেমন গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি। অস্বাভাবিক হারে বরফ গলার প্রভাব পড়বে নদীর ওপরেও। যার দরুন দেখা যাবে প্লাবন। আর মনে করা হচ্ছে এই ধরনের প্লাবন এর শক্তি এতটাই বেশি হবে যে দেশ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে পারে।