ভারতের কোনও অধিকার নেই, গোটা কাশ্মীরটাই পাকিস্তানের! নতুন ম্যাপ ঘিরে বিতর্ক
ভারতকে দূ- দন্ড শান্তি দিচ্ছে না প্রতিবেশী দেশ গুলি। দুর্বল করতে চাইছে ভারতকে। নেপালের পর এবার পাকিস্তান। আজ বুধবার অযোধ্যার রাম মন্দির ভূমি পুজো। তার আগে মঙ্গলবার ভারতের মনোবল দুর্বল করতে ভারতীয় ভূখণ্ডকে নেপালের অন্তর্ভুক্ত করে, নয়া মানচিত্র প্রকাশ করে কেপি শর্মা অলি সরকার। আর এবার পাকিস্তান, গোটা কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ম্যাপের সঙ্গে জুড়ে নয় সংঘাতের পথে হাঁটতে চাইছে ইমরান খানের সরকার।
মঙ্গলবার ইমরান খান নিজে হাতে সেই বিতর্কিত মানচিত্রের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। ইমরান খান সরকার ও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। মানচিত্র প্রকাশ করে খান সূর চড়ান, ‘ কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মানুষের অসম্পূর্ণ ইচ্ছেকে সম্পূর্ণ করবে এই মানচিত্র। আজই আমরা পাকিস্তানের নতুন মানচিত্র বিশ্বের সামনে আনছি। নয়া মানচিত্র পাকিস্তানের মানুষের আশা ও বিশ্বাসকে সমর্থন করে। পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা ছাড়াও বিরোধী দল এমনকী কাশ্মীরি নেতৃত্বেরও সমর্থন রয়েছে’।
অন্যদিকে, পাক বিদেশ মন্ত্রী শাহ কুরেশির দাবি, ‘মানচিত্রে প্রাথমিক ভাবে বিন্দুযুক্ত রেখা দিয়ে একটি ‘বিতর্কিত অঞ্চল’ ইঙ্গিত করা হত। নয়া মানচিত্রে সেই রেখা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মানচিত্রের মাধ্যমে ভারতের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। কারণ, কাশ্মীরের নিরস্ত্র শহিদ যুবাদের পাশে রয়েছে পাকিস্তান। এই মানচিত্র আমাদের লক্ষ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। গত বছর ৫ অগস্ট ভারত একটি মানচিত্র প্রকাশ করে বিশ্বের সামনে নিজেদের নিয়ে মজা করেছে। সিয়াচেন বরাবরই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। এমনকি কাশ্মীরি নেতারা নয়া মানচিত্রকে সমর্থন করেছেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রথম বর্ষপূর্তি আজ বুধবার, ৫ অগস্ট। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোও আজ। সেই বর্ষপূর্তির আগের দিনেই নয়া মানচিত্র প্রকাশ করে, বিরোধ বাড়াল পাকিস্তান। শুধু কাশ্মীর নয় এমনকি গুজরাতের জুনাগঢ়কেও পাকিস্তানের নয়া মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।